দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০২৩ সালেই যুদ্ধের বিশ্বরেকর্ড

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০২৩ সালেই যুদ্ধের বিশ্বরেকর্ড

সুদীপ চক্রবর্তী

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর একবিংশ শতকের ২০২৩ সালেই বিশ্ব রেকর্ড সংখ্যক যুদ্ধ দেখেছে। সম্প্রতি নরওয়েভিত্তিক শান্তি ও সংঘর্ষবিষয়ক গবেষণা সংস্থা দ্য পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব অসলোর (পিআরআইও) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার (১০ জুন) এমনই এক গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পিআরআইও। তাদের পাশাপাশি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাও এ বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনের বরাতে এএফপি উল্লেখ করেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে ৫৯টি সংঘাত ঘটেছে তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ। সংঘটিত সংঘাতের ২৮টিই ঘটেছে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে, ১৭টি এশিয়ায় আর মধ্যপ্রাচ্যে ১০টি। এছাড়া ইউরোপে তিনটি ও যুক্তরাষ্ট্রে একটি সংঘাতের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। আর এসব সংঘাতের জেরে গত বছর বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ।

পিআরআইও’র গবেষক এবং গবেষণা প্রবন্ধের মূল লেখক সিরি আস রুস্টাড জানিয়েছেন, ‘শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে, অর্থাৎ ১৯৮৯ সালের পর থেকে বিশ্বজুড়ে সংঘাত বাড়ছে এবং বর্তমানে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় তা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। দিন যতো গড়াচ্ছে, সংঘাত তত জটিল হচ্ছে এবং সংঘাত উসকে দেয়ার উপাদানের সংখ্যাও বাড়ছে। ’

এই গবেষক আরও উল্লেখ করেন, গত কয়েক বছরে আল কায়দা সমর্থিত বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বাড়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে। এই তিন অঞ্চলের মধ্যে কিছু কিছু এলাকার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ, যে সেখানে সংঘাত হ্রাসের চেষ্টা শুরু করাও সম্ভব নয়।

যদিও ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে সংঘাত কবলিত দেশের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। পিআরআইও’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে যেখানে ৩৯টি দেশে সংঘাত চলছিল, সেখানে ২০২৩ সালে সংঘাত চলেছে ৩৪টি দেশে।

এই গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সংঘাতের সংখ্যা বাড়ার জন্য আংশিকভাবে এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আইএসআইএল (আইএসআইএস) এর বিস্তার এবং সাধারণভাবে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি পাওয়া নন-স্টেট নেতাদের দায়ী করা যেতে পারে। এসব সংঘাতের কারণে এনজিওগুলোর কাজ করার পরিধি কমে যাচ্ছে।

news24bd.tv/SC