ঠাকুরগাঁওয়ে বাল্যবিয়ে হচ্ছে জেনেও পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ ইউএনও-পুলিশের বিরুদ্ধে

ঠাকুরগাঁওয়ে বাল্যবিয়ে হচ্ছে জেনেও পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ ইউএনও-পুলিশের বিরুদ্ধে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে থামাতে সদরের ইউএনও ও পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করার পরেও কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক চেয়ারম্যান।

অভিযোগকারী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস. এম মোস্তাক বলেন, আমার ইউনিয়নে একজন নাবালিকা মেয়ে (১৬) একজন নাবালক ছেলের (১৫) বাড়িতে অনশন করলো, সেখানে বিয়ে হলো, বিষয়গুলো নিয়ে আমি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও ইউএনও’কে ফোনে অবগত করি, কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি। যদি তারাই না নেয় তাহলে আমি আর কি করবো?

জানা গেছে, গত ৬ জুন দুপুরে জামালপুর ইউনিয়নের মহেশআলী আব্দুর রউফের মেয়ে (১৬) বিয়ের দাবিতে একই ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের মইনুল ইসলামের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন। বিষয়টি জানাজানির পরে মইনুল ইসলামের ছেলে (১৫) বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

পরে ৭ জুন রাতে স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নরেশ চন্দ্র ও ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিরুল ইসলামসহ পরিবারের সমঝোতার মধ্যে ছেলেটিকে নিয়ে এসে দুইজন নাবালক ও নাবালিকা মেয়ের বাল্যবিয়ে দেন।

এদিকে, বাল্যবিয়ে দেয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমন ঘটনা সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব আনবে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, একটি মেয়ে দুইদিন ধরে অনসন করে আছে, কিন্তু ছেলে পক্ষের কেউ প্রশাসনকে খবর দিলো না।

এরপর আবার দুই ওয়ার্ডের মেম্বাররা মিলে নাবালক ও নাবালীকা ছেলে-মেয়ের বাল্যবিয়ে দিলো। বিষয়টি ঠিক হলো না।

বিষয়টি নিয়ে জামালপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার মেম্বারের সঙ্গে কথা বলে দাওয়াতের মাধ্যমে দুইজনের বিয়ে দিয়েছি। বাল্যবিবাহ কেন দিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবার রাজি তো আপনার আমার কী ভাই? তবে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার বিবাহের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এদিকে অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এ বিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, আমাকে জামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কোনো ফোন দেয়নি। এখন তিনি ডিউটি অফিসারকে অবগত করেছে হয়তো তা আমার জানার বাইরে। বিষয়টি খবর নিচ্ছি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেন বলেন, আমাকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফোন করেননি। তবে গ্রাম পুলিশ ফোন দিয়েছিল, আমি বলেছিলাম ঘটনার বিস্তারিত জানাতে, পরে কেউ কিছু বলেনি।

news24bd.tv/SHS

এই রকম আরও টপিক