এইচএসসির প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী

এইচএসসির প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী

অনলাইন ডেস্ক

সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রোববার (৩০ জুন) সিলেট বিভাগ বাদে অন্য সব বিভাগ মিলিয়ে প্রথম দিনের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন ১৫ হাজার ২০৩ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ৯ হাজার ৯৭০ পরীক্ষার্থী আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আর অন্যরা মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের।

রোববার (৩০ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য ধরে তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

পরে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে লিখিতভাবেও অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়।

সিলেট বোর্ড বাদে অন্য আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৯। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ৯ লাখ ২৩ হাজার ৭১৯ জন। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ২ হাজার ৬০১ জন, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫০৮, কুমিল্লায় ১ হাজার ১৫৬, যশোরে ১ হাজার ৩২৮, চট্টগ্রামে ৯৭৫, বরিশালে ৭২৭, দিনাজপুরে ১ হাজার ১৩ ও ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ৬৬২ জন।

এছাড়া মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৬৩ জন। তাদের মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৩০ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে ২ হাজার ৯৮৮ ও কারিগরি বোর্ডে ২ হাজার ২৪৫ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে আজ ৪৯ জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুজন পরিদর্শককে বহিস্কার করা হয়েছে।
এদিকে সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয় বন্যা পরিস্থিতির কারণে। তবে ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো যথারীতি হবে। আর স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলোর সময় পরে জানানো হবে।

বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে কিছু কিছু জায়গায়, বিশেষ করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে ভোগান্তি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে যেসব কেন্দ্রে শিক্ষার্থী কিছুক্ষণ পরে পৌঁছেছেন, তাদের সময় সেভাবে সমন্বয় করতে কেন্দ্রের সচিবদের নির্দেশনা দেওয়া ছিল বলে জানান মন্ত্রী।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সোমবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে আগামীকাল পরীক্ষা নেই। সেই পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী দিনের পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা যথাসময়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে এই পরীক্ষা এগিয়ে এনে এপ্রিলে এই পরীক্ষা শুরু করতে পারা যাবে।

এই সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার।   

news24bd.tv/SC