উজানে অতিবৃষ্টিতে জুলাইয়ের প্রথম ভাগে দেশের নিম্নাঞ্চলে মধ্যমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বানের পানিতে প্লাবিত হতে পারে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী সজল কুমার রায় সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানান।
সজল কুমার রায় জানান, আগামী তিন দিনে দেশের ভেতরে ও উজানে ভারতের রাজ্যগুলোতে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল আছে, যা বুধবার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল পাচ্ছে, যা সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া মনু, খোয়াই ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি সমতলেও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১০ দিনের পূর্বাভাসে পাউবো জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানির সমতল আগামী ৯ দিনে স্থিতিশীল ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌছাতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতলে সাত দিন স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় পানি সমতলে বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই। ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর পানির সমতল আগামী ৩-৪ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী ৬ দিন স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর অববাহিকায় বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই।
পাউবো জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণের ১১০টি স্টেশনের মধ্যে রোববার পানির সমতল বেড়েছে ৬৬টিতে, কমেছে ৪৩টিতে। একটি স্টেশনের তথ্য পাওয়া যায়নি মারকুলিতে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুশিয়ারার পানি।
news24bd.tv/আইএএম
