আপত্তিকর ছবি তুলে জিম্মি, চাকরি হারালেন এএসপি

আপত্তিকর ছবি তুলে জিম্মি, চাকরি হারালেন এএসপি

অনলাইন ডেস্ক

নারী ও পুরুষকে একসঙ্গে বসিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায়ের অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন পুলিশ একাডেমি সারদার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ইয়াকুব হোসেন। এ কাজের জন্য পাঁচজন পুলিশ সদস্য নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্রও গড়ে তুলেছিলেন তিনি।  

আজ রোববার (৩০ জুন) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ দেওয়া হয়।  

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াকুব হোসেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর সার্কেলে দায়িত্বে ছিলেন।

তখন তার নিয়ন্ত্রণাধীন মিরপুর থানার সাবেক এসআই জীবন বিশ্বাস, কনস্টেবল আল আমিন, কনস্টেবল মো. আব্দুস সবুর, গাড়িচালক কনস্টেবল সামিউল, কনস্টেবল রানা ও কনস্টেবল অনিকের সমন্বয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে একটি টিম গঠন করেন। ২০১৯ সালে ১৯ জানুয়ারি পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পৌর এলাকার মোশারফপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লিপি কমিশনারের বাড়িতে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেন। সেখানে এক নারীর সঙ্গে মো. আশরাফ হোসেন ও মো. শামীম রেজা অবস্থান করাকে অবৈধ কাজের অভিযোগ তুলে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। পরে তাদের অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছবিও তোলেন।
পরবর্তীতে মিরপুর বাজারে বিকাশ ব্যবসায়ী সোহেল রানার মাধ্যমে অভিযোগকারীদের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন।  

পরে বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী পুলিশ সদর দপ্তরে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াকুব হোসেনকে কারণ দর্শাতেও বলা হয়।  

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পরবর্তী তদন্তে বিষয়টি প্রমাণ হওয়ায়। অপরাধের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদিসহ সার্বিক বিবেচনায় তাঁকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি অনুযায়ী যথাক্রমে ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’ এর অভিযোগে একই বিধিমালার বিধি ৪ এর উপ-বিধি ৩ (খ) মোতাবেক ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’ গুরুদণ্ড দেওয়া হয়।

news24bd.tv/SHS