রাঙামাটিতে শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড

রাঙামাটিতে শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

শিশু ধর্ষণ মামলায় একজনকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারিক আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. মোজাম্মেল হক (৪০)।

আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় এ রায় দেন রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারিক ও জেলা ও দায়রা জজ এ ই এম ইসমাইল হোসেন। এসময় তিনি আসামিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি অতিরিক্ত এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৮ সালে রাঙামাটির রিজার্ভ বাজার এলাকার পুরানবস্তি পাড়ায় ধর্ষণের শিকার হয় ১৩ বছরের ৬ষ্ঠ শ্রেণির  এক মাদরাসা শিক্ষার্থী। আসামি মো. মোজাম্মেল হক কৌশলে শিশুটিকে নিজ ঘরে ডেকে বন্দী করে ধর্ষণ করে। এসময় স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে উদ্ধার করে। একইসঙ্গে আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

পরে শিশুটির মা বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। ২০১৯ সালে রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল মামলাটি আমলে নেন। পরে শিশুটির ডিএনএ পরীক্ষা, এজাহারকারী, ভিকটিম, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য ও স্থানীয়সহ ফরেনসিক সাক্ষ্য ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আদালত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে আসামীর বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম অভি এ রায়ের সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আসামিকে ৯০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তকে জরিমানার অর্থ জমা করার নিদের্শ দিয়েছেন আদালত। এ অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত শিশুটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে। আসামি যদি এ ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১৬ ধারার বিধান অনুসারে আসামির মালিকানাধীন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও নিলাম করে সে অর্থ ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. আহমেদ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।

news24bd.tv/SHS