থামছে না বৃষ্টি, রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা

থামছে না বৃষ্টি, রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে অবিমাহীনভাবে ঝড়ছে বৃষ্টি। কখনো হালকা, মাঝারি কখনোবা ভারি। তাই শঙ্কার কালো মেঘ জমেছে পাহাড়বাসীর মনে। ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ধসে পড়ছে পাহাড়ের মাটি।

পাহাড় ধসের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটছে পাহাড়বাসীর। যদিও খোলা রয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। কিন্তু নিজের ভিটেমাটি ছাড়তে নারাজ কেউ কেউ।

অন্যদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের পানি।

পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

সোমবার সকাল ৬টার দিকে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া যায় রাঙামাটি ও চট্টগ্রাম মহাসড়ক, রাঙামাটি কাপ্তাই আসামবস্তি সড়ক ও রাঙামাটি খাগড়াছড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে।

তবে এখনো পাহাড়বাসীর বাড়ি-ঘর নিরাপদে রয়েছে। তাই বড় কোনো ক্ষতি যাতে না হয় সে বিষয়ে মাঠে নেমেছে প্রশাসনের বিশেষ নিরাপত্তা দল।

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসন, সেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এছাড়া রাঙামাটির ১০টি উপজেলাগুলোতেও উপজেলা নির্বাহী সমন্বয়ে কাজ করছে সেচ্ছাসেবীরা। পাহাড় বাসিকে নিরাপত্তা দিতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে।

রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির জানান, ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯৩.৭ মিলিমিটার। এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসন মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, যদি রাতে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে ঝুঁকিতে থাকদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হবে। রাঙামাটির ২৬টি চিহ্নত স্থানে বার বার মাইকিং করে স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে। এছাড়া আমাদের উদ্ধার কর্মী, মেডিকেল দলসহ নিরাপত্তা কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে। পাশপাশি মানুষের জানমালে নিরাপত্তা দিতে মাঠে নেমেছে জনপ্রতিনিধিরাও।

রাঙামাটি পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধূরী বলেন, রাঙামাটি পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ২৬টি স্থানে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন ৪ ও ৬নং ওয়ার্ডের মানুষ। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে পৌর এলাকার ঝুঁকিতে থাকাদের সতর্কতার জন্য জনপ্রতিনিধিরা কাজ করছে।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক