ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে যেসব কারণে

সংগৃহীত ছবি

ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় হচ্ছে যেসব কারণে

অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপ রিমাল বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানতে পারে সন্ধার পর বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর। নিম্নচাপটি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) সকালে দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমানের এ সংক্রান্ত ব্রিফিংয়ের দুই ঘণ্টার মধ্যেই এমন ঘোষণা দিলো দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কেন এত বেশি ঝড় তৈরি হচ্ছে?

একই সময়ে এতো বেশি ঝড়ের জন্য বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর ঝড় বেশি হচ্ছে। এমনকি একই সময়ে বিশ্বে একাধিক ঝড়েরও তৈরি হচ্ছে।

বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং এল নিনোর নিরপেক্ষতার কারণে সাগরের পরিবেশগুলোও অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। যেমন ভারত মহাসাগরে স্বাভাবিকের তুলনায় তাপমাত্রা এক-দুই ডিগ্রি বেশি উষ্ণ ছিল।

এসব কারণে এখানে দ্রুত ঝড়গুলো দ্রুত তৈরি হচ্ছে। তার অনেকগুলো পরবর্তীতে বড় হয়ে যাচ্ছে, অনেকগুলো আর বাড়ছে না। যতদিন পর্যন্ত এসব সাগরের উষ্ণতা যথেষ্ট মাত্রায় নীচে নেমে না আসবে, ততদিন এসব ঝড়ের দেখা পাওয়া যাবে।

আবহাওয়াবিদরা আরও বলছেন, সাইক্লোনের পরিবেশ তৈরির একটি বড় কারণ সাগরের ওপরের তাপমাত্রা ২৬.৫ বা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকা। এখন বিশ্বের অনেক এলাকার সমুদ্রেই এমনটা দেখা যাচ্ছে। ''

আবহাওয়াবিদ মি. মান্নান বলেন, এল নিনো তৈরি হলে বিশ্বের অন্যান্য এলাকায় সাগরের উষ্ণতা কমে যাবে। তখন এসব সাগরে ঝড়ের প্রবণতাও কমবে। তবে সেটি বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধিকে আবার প্রভাবিত করবে।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে এল নিনো (পেরুর উপকূলে সমুদ্রের উপরের পানি গরম হয়ে যাওয়া, যা সেখানে মেঘ সৃষ্টি আর প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়, দুই বা সাত বছর পরপর তৈরি হয়) তৈরি হলে সেটি বিশ্বের অন্যান্য এলাকায় একযোগে ঝড়ের প্রবণতা অনেক কমে যাবে।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক