এআই প্রযুক্তি অর্থ্যাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের সব ধরনের চাকরি কেড়ে নেবে, এমনটাই বলেছেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) প্যারিসে ভিভাটেক ২০২৪- প্রযুক্তি সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খবর সিএনএনের।
ইলন মাস্ক বলেন, সম্ভবত আমাদের কারোরই চাকরি থাকবে না।
তবে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে সর্বজনীন আয়ের ধারণা তুলে ধরেছেন মাস্ক।
মাস্ক বলেন, ‘পণ্য বা পরিষেবার কোনো ঘাটতি হবে না। ’ বিগত কয়েক বছরে এআই সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা খুবই দ্রুতগতিতে হয়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রক, কোম্পানি এবং ভোক্তারা এখনো কিভাবে দায়িত্বশীলভাবে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করবেন তা বুঝে উঠতে পারছে না। বাজারে এআই প্রসারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শিল্প এবং চাকরি কিভাবে পরিবর্তিত হবে, তা নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা।
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবের গবেষকরা দেখেছেন, বিভিন্ন কর্মক্ষেত্র প্রত্যাশার ও আশঙ্কার চেয়ে অনেক বেশি ধীরে ধীরে এআই গ্রহণ করছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, এআই ব্যবহার করে কাজ করাটা বেশির ভাগ নিয়োগকর্তার জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ছিল না।
বিশেষজ্ঞরা অনেকাংশে বিশ্বাস করেন অনেক চাকরি, যেখানে উচ্চ মানসিক বুদ্ধিমত্তা এবং মানুষের মিথস্ক্রিয়া প্রয়োজন পড়ে, সেখানে এআই দিয়ে কাজ করানোর প্রয়োজন হবে না। যেমন মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসক, সৃজনশীল কাজ এবং শিক্ষক।
এআই নিয়ে মাস্ক তার উদ্বেগের বিষয়ে স্পষ্টবাদী হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে তার সবচেয়ে বড় ভয়। তিনি লেখক ইয়ান ব্যাঙ্কসের ‘কালচার বুক সিরিজ’ বইগুলোর কথা বলেছেন। যেখানে উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত একটি সমাজের কল্পিত রূপের কথা বলা হয়েছে। বইগুলোতে থাকা এসব কল্পিত রূপ বাস্তবসম্মত এবং ভবিষ্যৎ এআই সম্পর্কে সেরা ধারণা তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
তবে চাকরিবিহীন ভবিষ্যতে মানুষ নিজেকে মানসিকভাবে পরিপূর্ণ বোধ করবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘কম্পিউটার এবং রোবট যদি আপনার চেয়ে ভালোভাবে সব কিছু করতে পারে, তবে আপনার জীবনের কী অর্থ থাকবে?’
মাস্ক অভিভাবকদের অনুরোধ করেছেন, শিশুরা যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সীমিত করে। কারণ শিশুদের আকৃষ্ট করতে এআই ব্যবহার করছে এসব প্ল্যাটফরম।
news24bd.tv/DHL