সিলেটে আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান

ফাইল ছবি

সিলেটে আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান

অনলাইন ডেস্ক

সিলেটের কৈলাসটিলা গ্যাস ফিল্ডের কৈলাসটিলা-৮ নম্বর কূপ খনন করে গ্যাস পাওয়া গেছে। মাটির ৩ হাজার ৪৩৮-৪৭ মিটার গভীরতায় এই গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। এই কূপ থেকে প্রতিদিন ২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে যুক্ত হবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন নির্মাণ করে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করবে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস্ লিমিটেড (এসজিএফএল)।

চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপের খনন কাজ শুরু হয়। চার মাসে সফলভাবে খনন কাজ শেষে আজ শুক্রবার (২৪ মে) সকালে গ্যাসের সন্ধান মিলে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির এই কূপটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খনন করছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। কূপের মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে বিদ্যমান পাইপলাইন ও আড়াই কিলোমিটার দূরত্বে ব্যবহারযোগ্য প্রসেস প্লান্ট রয়েছে।

তাই দ্রুত এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা সম্ভব বলে জানান কর্মকর্তারা।  

সিলেট গ্যাস ফিল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কৈলাশটিলা ৮ নম্বর কূপ অনুসন্ধান করে গ্যাস পাওয়া গেছে। কূপটির ৩ হাজার ৪৪০ থেকে ৩ হাজার ৪৫৫ মিটার পর্যন্ত গভীরতায় নতুন গ্যাসের স্তর পেয়েছি। তবে এখন পরীক্ষা চলছে। এই কূপ থেকে প্রাথমিকভাবে দৈনিক ২০/২১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, এই কূপে এ যাবৎকালে গ্যাসের সবচেয়ে বেশি প্রেশার রয়েছে ৩ হাজার ৩৭৫ পিএসআই। যাকে সুপার প্রেসার বলা হলে। আশা করছি, আগামী ৩ মাসের মধ্যে এখান থেকে প্রাপ্ত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

জানা যায়, এ নিয়ে গত ৭ মাসের মধ্যে সিলেটের চারটি আলাদা কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলল। এর মধ্যে গত ডিসেম্বর ও নভেম্বরে ১০ নং কূপে এরপর রশিদপুর ও কৈলাশটিলায়।

গত ১০ ডিসেম্বর সচিবালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, গত ৮ ডিসেম্বর ‘সিলেট-১০ কূপ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট) তিনটি স্তরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। এরমধ্যে প্রথম স্তরে তেলের সন্ধান মিলে। ’ 

পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ পাওয়া গেছে। এছাড়া ওই কূপের তিনটি স্তরে নতুন গ্যাসের সন্ধান মিলেছে।  

সিলেট ১০ নম্বর কূপ ২ হাজার ৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন করা হয়। কূপের নিচের স্তরটি ২ হাজার ৫৪০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ মিটার টেস্ট করে আড়াই কোটি ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়। ফ্লোয়িং প্রেশার ৩ হাজার ২৫০ পিএসআই। মজুদের পরিমাণ ৪৩ থেকে ১০০ বিলিয়ন ঘনফুট। ২ হাজার ৪৬০ থেকে ২ হাজার ৪৭৫ মিটারে আরো একটি ভালো গ্যাসের স্তর পাওয়া যায়।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক