১০২ কিমি গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়

প্রতীকী ছবি

১০২ কিমি গতিতে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়

অনলাইন ডেস্ক

বঙ্গোপসাগরে বুকে যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল, তা শক্তি বাড়িয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে নিম্নচাপ ও গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী শনিবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।  

রোববার ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এ সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১০২ কিলোমিটার।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আবহাওয়া মডেল এমন তথ্য দিয়েছে।  

ভারতের আবহাওয়া দপ্তর আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সকালে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের লঘুচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গেছে এবং বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ও পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলে অবস্থান করছে। আগামী শনিবার এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কথা বলা হলেও আবহাওয়াবিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে এটি ভারতের উড়িষ্যা অথবা বাংলাদেশের উপকূলে যেতে পারে।

আর ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানা শুরু করতে পারে রোববার (২৬ মে) বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ২৭ মে রাত আড়াইটার মধ্যে।

ভারতের আবহাওয়াবিদ মনিকা শর্মা বলেন, ক্রমশ এই ঘূর্ণিঝড় এগোবে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ-সংলগ্ন উপকূলবর্তী অংশে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ১০২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। সমুদ্র উপরিভাগের তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি থাকলে সাধারণত ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি হয়। এ ক্ষেত্রে বঙ্গোপসাগরের উপরিভাগের তাপমাত্রা রয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। ওমানের দেওয়া আরবি শব্দটির বাংলা অর্থ বালু। এই নামে আফগানিস্তানে একটি শহর আছে। সেই শহরের নামানুসারে এটির নামকরণ হয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, লঘুচাপটি আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে শনিবার বা রোববারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, নিম্নচাপ না হওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় হবে বা এর গতিপথ কেমন হবে তা বলা যায় না। নিম্নচাপে পরিণত হলেই স্পষ্টভাবে লোকেশন বলা যায়।  

বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেলের বরাত দিয়ে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ‌ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করার আশঙ্কা আছে। আবার সরাসরি খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়েও স্থলভাগে আঘাত করতে পারে।

news24bd.tv/কেআই