বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে মরিয়া আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী 

নায়েব আলী জোয়ার্দার।

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে মরিয়া আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ার্দার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ওই এলাকার সাধারণ ভোটাররা। গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে তাঁর কর্মীসমর্থকেরা এ ধরনের প্রচার চালিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ার্দার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন জেলা সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি গত ১৬ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তারপর ঝিনাইদহ-১ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপর আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দার। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন আরও দুজন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা জানান, নায়েব আলী জোয়ার্দার একজন জ্যেষ্ঠ নেতা হওয়া স্বত্তেও বিভিন্ন সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় এই উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় তাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারেনি তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এদিকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সন্নিকটে চলে আসায় তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করা হলে সেটা শৈলকুপা আওয়ামী লীগের জন্য সুখকর হবে না। বরং আরও দলীয় কোন্দল আরও বেড়ে যাবে।

ঝিনাইদহ জেলা সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব আলম জানান, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এমনিতেই নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্কের মধ্যে রয়েছে। সেখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংগঠন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা সৃষ্টি হবে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নায়েব আলী জোয়ার্দারের মোবাইলে কল করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

news24bd.tv/DHL