মহানবী (সা.)-এর ভাষ্যে উত্তম প্রতিবেশীর পরিচয়

মহানবী (সা.)-এর ভাষ্যে উত্তম প্রতিবেশীর পরিচয়

 আবরার নাঈম

সমাজে একসঙ্গে যাদের বসবাস, চলাফেরা ও ওঠাবসা; সুখ-দুঃখ, হাসিকান্নায় যারা পাশে থাকে তারা একে অন্যের প্রতিবেশী। কোরআন ও হাদিসে প্রতিবেশীর সঙ্গে সদাচরণ ও সৌজন্যতা রক্ষার জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেশীর পরিচয় সম্পর্কে হাসান (রহ.)-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘নিজের ঘর থেকে সামনের ৪০ ঘর, পেছনের ৪০ ঘর, ডানের ৪০ ঘর এবং বাঁ দিকের ৪০ ঘর তোমাদের প্রতিবেশী। ’ (আদাবুল মুফরাদ : ১০৮)

ইসলামে প্রতিবেশীর গুরুত্ব

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, জিবরাইল (আ.) আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে এত অধিক নসিহত করতে থাকেন যে আমি মনে মনে ভাবলাম, তিনি হয়তো প্রতিবেশীকে ওয়ারিশ বানাবেন।

(আদাবুল মুফরাদ : ১০০)
প্রতিবেশীর হক

প্রতিবেশীর অন্যতম হক হলো তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা। আবু শুরায়হ আল-খুযাঈ (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীর প্রতি দয়াপরবশ হয়। (আদাবুল মুফরাদ : ১০১)

প্রতিবেশী অভুক্ত থাকলে তাকে অন্ন দেবে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, ইবনে আব্বাস (রা.) ইবনুজ জুবাইর (রা.)-কে অবহিত করে বলেন, ‘আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশীকে অভুক্ত রেখে তৃপ্তি সহকারে আহার করে সে মুমিন নয়।

’ (আদাবুল মুফরাদ : ১১১)

কথা বা কাজে প্রতিবেশীকে কষ্ট দেবে না। মানুষকে কথা বা কাজকর্মে কষ্ট দেওয়া হারাম—হোক সে প্রতিবেশী বা অন্য কেউ। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, সে-ই প্রকৃত মুসলিম, যার জিহ্বা ও হাত থেকে সব মুসলিম নিরাপদ থাকে এবং সে-ই প্রকৃত মুহাজির, আল্লাহ তাআলা যা নিষেধ করেছেন তা যে ত্যাগ করে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১০)

লেখক : শিক্ষক, জামিয়া ইমাম আবু হানিফা (রহ.), ঢাকা