নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর সঠিক উপায়

সংগৃহীত ছবি

নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর সঠিক উপায়

অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র কোরআনের আয়াত থেকে জামাতে নামাজ পড়ার গুরুত্ব ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায়। তাই জামাতে নামাজ না পড়ে গুনাহগার হওয়া এবং অসীম সওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়া একজন মুমিনের জন্য শোভন নয়। একা নামাজ পড়ার চেয়ে জামাতে নামাজ আদায়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। জামাতে নামাজ পড়া ওয়াজিব।

আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু করো। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ৪৩) । এছাড়া  নামাজে জামাতের গুরুত্বের কথা বলতে গিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জামাতে নামাজ আদায় করা একাকী নামাজ আদায় করার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি সওয়াবের। (বুখারি হাদিস: ৬৪৫; মুসলিম হাদিস: ৬৪০)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আজান দেওয়া এবং প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে যে কী র্মযাদা আছে তা যদি মানুষ জানতে পারত, তাহলে তা পাওয়ার জন্য তারা প্রয়োজনবোধে লটারি করত। দুপুরের নামাজের যে র্মযাদা আছে, তা যদি তারা জানতে পারত, তাহলে তারা এটা আদায় করার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগে যেত। এশা ও ফজরের নামাজের মধ্যে যে (তাদের জন্য) কী র্মযাদা রয়েছে , তা যদি জানতে পারত, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও এসে নামাজে উপস্থিত হতো। ’ (মুসলিম হাদিস: ৮৬৭)

তবে জামাতের নামাজে দাঁড়ানোর সঠিক পদ্ধতি অনেকের কাছেই অজানা থাকে। হাদিস মতে, জামাতে নামাজে দাঁড়ানোর সঠিক পদ্ধতি হলো, ইমামের সঙ্গে একজন পুরুষ মুক্তাদি (ইমামের অনুসরণকারী) থাকলে সে ইমামের ডানপাশে দাঁড়াবে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, একবার আমি আমার খালার (উম্মুল মুমিনিন মায়মুনা (রা.) ঘরে রাত যাপন করলাম। নবি (সা.) রাতে নামাজে দাঁড়ালেন। আমিও তাঁর সঙ্গে নামাজে দাঁড়ালাম। আমি তাঁর বামপাশে দাঁড়ালাম। তিনি আমার মাথা ধরে তার ডানপাশে দাঁড় করালেন। (বুখারি ৬৯৯)।

মুসল্লি একজন হলে ইমামের ডানদিকে তার বরাবর দাঁড়াবে। ঠিক বরাবর দাঁড়ালে যেহেতু কখনো মুক্তাদি ইমামের সামনে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কোনো কোনো ফকহি বলেছেন, মুক্তাদি এভাবে দাঁড়াবে যাতে তার পায়ের আঙুল ইমামের পায়ের গোড়ালি বরাবর থাকবে।

news24bd.tv/আইএইচ/DHL

এই রকম আরও টপিক