সারাক্ষণই পেটে অস্বস্তির সমস্যায় ভুগছেন। বাড়ছে অ্যাসিডিটির সমস্যাও। তাহলে এখনই সতর্ক হন। আপনি অন্ত্রে কৃমির সমস্যায় ভুগছেন না তো!
কৃমি এক ধরনের পরীজীবী।
কৃমির লক্ষণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে কৃমির উপস্থিতি থাকলে বেশকিছু লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। যেমন-
১।
২। অপুষ্টিতেও ভুগতে থাকে রোগী।
৩। রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
৪। শরীরে ক্লান্তিবোধ বেশি অনুভূত হয়।
৫। আমাশয়, পেট ফাঁপা, পেট কামড়ানো সহ পেটের নানা সমস্যা দেখা দেয়।
৬। পায়ুপথে চুলকানি শরীরে কৃমি থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
ঘরোয়া প্রতিকার
কৃমিতে আক্রান্ত হলে প্রথমেই ওষুধ খেতে যাবেন না। বেছে নিতে পারেন ঘরোয়া কিছু টিপস। যা থেকে সহজেই কৃমিমুক্ত হতে পারবেন। যেমন-
১। পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন জীবন যাপন করুন।
২। হাতের নখ ছোট রাখুন এবং প্রতিবার খাবার গ্রহণের আগে ভালো করে হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন।
৩। বাসি, পচা ও বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।
৪। ডায়েটে এমন খাবার রাখুন যা প্রাকৃতিকভাবে কৃমি ধ্বংস করে।
কৃমিনাশক প্রাকৃতিক খাবার
১। কৃমি মুক্ত হতে টানা চার দিন আনারসের এক গ্লাস জুস খেতে পারেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, আনারসে থাকা ব্রোমেলিন এনজাইম কৃমি মারতে দারুণ কাজ করে।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া উপায়ে সহজে বন্ধ হবে ‘নাক ডাকা’
২। অল্প গরম ভাতের সঙ্গে ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও পরিমাণমতো লবণ মেখে খালি পেটে খেয়ে নিন। নিয়মিত এক সপ্তাহ খেলেই উপকার পেতে শুরু করবেন।
৩। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুইটি লবঙ্গ চিবোতে পারেন। এতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান কৃমি ধ্বংস করে।
৪। কৃমি দূর করতে দারুণ কাজ করে রসুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ ভাত আর সবজির সঙ্গে ৩ কোয়া রসুন খেয়ে নিন। রসুনে থাকা অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড উপাদান পেটের কৃমি দ্রুত মেরে ফেলতে কার্যকরী।
নিয়মিত এসব ঘরোয়া উপায় মেনে চলুন। দেখবেন, কৃমি অনেকটাই কমে গেছে। তবে যদি এরপরও পুরোপুরি কৃমিমুক্ত না হতে পারেন তবে দ্রুত একজন হোমিওপাথ্যিক চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধ খাওয়া শুরু করুন।
news24bd.tv/ab