চুল-নখ-ত্বকের যত্নে বায়োটিন

চুল-নখ-ত্বকের যত্নে বায়োটিন

অনলাইন ডেস্ক

চুল-নখ-ত্বকের যত্নে বায়োটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিতর থেকে ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে হলে বায়োটিন লাগবেই। বায়োটিন একটি প্রয়োজনীয় ভিটামিন যা ভিটামিন এইচ নামেও পরিচিত।  

নতুন চুল গজানো থেকে শুরু করে চুলের ফলিকলে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে বায়োটিন।

এমনকি এই বায়োটিন আপনার চুলে প্রাকৃতিক ভাবেই কেরাটিন উৎপাদন করে। বায়োটিনের অভাব চুলের পাশাপাশি ত্বক ও নখেরও ক্ষতি করে।


এছাড়াও বায়োটিন পরিপাকে সাহায্য করে, স্নায়ুতন্ত্র, লিভার, কিডনির কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অনেক সময়ে চুলের রং পাল্টে ফ্যাকাসে হয়ে যায়।

নখ ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে কার্যকরী সমাধান হতে পারে বায়োটিন।  


কলা

চুলের অকালপক্বতা, চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হলে কলা খুব উপকারী হতে পারে। প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় ০.৩ মাইক্রোগ্রাম বায়োটিন রয়েছে। সঙ্গে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ রয়েছে, যা চুলের গোড়া মজবুত করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

অ্যাভোকাডো
একটি অ্যাভোকাডোতে প্রায় ২-৬ মাইক্রোগ্রাম করে বায়োটিন আছে। সেই সঙ্গেই রয়েছে ভিটামিন ই এবং সি, যা চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। অ্যাভোকাডোর তেলে থাকা ভিটামিন ডি চুলের গোড়া মজবুত করে, চুল ঝরে পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো তেল ত্বকের লালচে ভাব, ব্রণ, র‍্যাশ দূর করতে সাহায্য করে।

সূর্যমুখীর বীজ

সূর্যমুখীর বীজ ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ভিটামিন ই-এর বিশেষ ভূমিকা থাকে। এতে থাকে বি ভিটামিন। বায়োটিন ও ভিটামিন বি-১ (থিয়ামিন) শরীরের জন্য খুব উপকারী। টক দই, ওট্‌স মিলের উপর ছড়িয়ে খেতে পারেন সূর্যমুখীর বীজ। বিভিন্ন ধরনের বাদাম, যেমন আখরোট, পেস্তা, কাঠাদামের সঙ্গেও এই বীজ খেতে পারেন।

মাশরুম

মাশরুম খাওয়া শরীরের জন্য খুব ভাল। প্রতি ১০০ গ্রাম মাশরুমে ৭ মাইক্রোগ্রামের মতো বায়োটিন থাকে, যা চুল, ত্বক, নখের জন্য উপকারী। এতে পটাশিয়াম ও সেলেনিয়ামও আছে, যা চুলের গোড়া মজবুত করে, মাথার তালুতে চুলকানি বা র‌্যাশের সমস্যাও দূর করতে পারে।

ডিম

ডিমের কুসুমে থাকে বায়োটিন। পাশাপাশি, ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অন্যান্য খনিজ উপাদান, যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।

যেকোনো ধরনের ডাল, সয়াবিন, চাল, গম, ভুট্টা, বাদাম, ফুলকপি, ডিমের কুসুম, কলিজা, কলা, মাশরুম, চিনা/কাজু বাদামে যথেষ্ট পরিমাণ বায়োটিন থাকে। দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এসব খাদ্যের যেকোনো একটি থাকলেও বায়োটিন ঘাটতির সম্ভাবনা নেই। সূত্র: আনন্দবাজার
 

news24bd.tv/এসএম

এই রকম আরও টপিক