সুনামগঞ্জ সদরের মাইজবাড়ি বদিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ (২৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার) সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এই রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম বাদল মিয়া। তিনি বুড়িস্থল গ্রামের পাখি মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে ওয়াজ মাহফিলের পাশে এক মেয়েকে নিয়ে কথা বলছিলেন বাদল মিয়া, সফিক মিয়া ও জাকির হোসেন।
বাদল মিয়া তখন মুরব্বিদের জানান মেয়েটি তার প্রেমিকা। এলাকায় ওয়াজ হচ্ছে শুনে ওই মেয়েটির কথায় তারা এখানে এসেছেন।
এ সময় ইয়াকুব আলী প্রেমিকার সামনে বাদল মিয়াকে অপমান করলে তিনি ইয়াকুবকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। হুমকি অনুযায়ী, রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বদিপুর এলাকায় ইয়াকুব আলীর ওপর হামলা চালান বাদল, সফিক ও জাকির। এ সময় বাদল মিয়া এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করেন ইয়াকুব আলীকে। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন ইয়াকুব আলীর বড় ভাই হযরত আলী বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাদল মিয়া, সফিক মিয়া ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে ৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে আদালত বুধবার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী (পিপি) খায়রুল কবির রুমেন।
বুরহান▐ অরিন▐ NEWS24