চারদিক তখন বন্যার পানিতে থই থই। ভেসে গেছে ভারতের গোটা কেরালা রাজ্য। মৃতের সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছিল। এক কথায় দুর্বিসহ হয়ে উঠেছিল কেরালাবাসীর জীবন।
এরই মধ্যে সন্তানসম্ভবা এক নারী পড়লেন বিপদে। চারদিকে যখন বাঁচার জন্য হাহাকার, বন্যা গ্রাস থেকে নিজেকে রক্ষার তাগিদ, তখনই শুরু হলো প্রসব যন্ত্রণা!
ব্যথার যন্ত্রণা যখন বেড়ে চললো, গর্ভবতী তখন দিশেহারা হয়ে পড়লেন। এই অবস্থায় গলা সমান পানি ঠেলে কোথায় যাবেন তিনি?
এমন সময় আকাশে শোনা গেল ভারি আওয়াজ। ওই নারীর বাড়ির ছাদের ওপরে এসে থেমেছে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার।
সঙ্গে সঙ্গে হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসে বেল্ট। এই বেল্টে বেঁধেই সন্তানসম্ভবা ওই নারীকে তুলে নেয়া হলো হেলিকপ্টারে। তারপর সোজা হাসপাতালে।
অল্পক্ষণ বাদেই কোল জুড়ে আলো করে এলো পুত্রসন্তান। চিকিৎসকের ভাষ্য, ‘আরেকটু দেরি হলে ওই নারীর প্রাণ বাঁচানো মুশকিল হতো। ’
সূত্র: এনডি টিভি
অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর