গবেষকের অভাব ও রাজনীতির প্রভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি ঢাবি

সজল দাস

শতবর্ষে আলোচনার কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা। পাট থেকে অ্যান্টিবায়োটিক, ডেঙ্গু রোগের ওষুধ, কিংবা পাটের জিনোম সিকোয়েন্স এমন আলোচিত অনেক গবেষণায় প্রতিষ্ঠানটির নাম জড়িয়ে থাকলেও বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে পিছিয়ে পড়ছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড।  

শিক্ষক ও গবেষকরা বলছেন, স্বল্প আর্থিক বরাদ্দ, মানসম্মত গবেষকের অভাব আর অতিমাত্রায় রাজনীতির প্রভাবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।  
দেশ গঠন কিংবা অধিকার রক্ষার আন্দোলন-সংগ্রামে যতটা উজ্জ্বল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা, শিক্ষা ও গবেষণায় এর অবস্থান এগোয়নি ততোটা।

আন্তর্জাতিক সংস্থা স্কোপাসের তথ্য অনুযায়ী প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনার সংখ্যা ৮ হাজার ৪৪৯। সংখ্যার বিচারে যা নগণ্য, বলছেন গবেষকরা। শিক্ষা ও গবেষণার এই প্রেক্ষাপট বিশ্ব র‌্যাংকিংয়েও পিছিয়ে দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে।

কেনো এই অবস্থা? শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বের অভাবকে দায়ি করছেন বিশিষ্টজনরা।

বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে গবেষণা খাত অবহেলিত সবসময়ই। গত ৫ বছরের বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের মাত্র ১ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে।  


আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত লতা মঙ্গেশকর আইসিইউতে

নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ

বিএনপির সমাবেশে দাওয়াত পাননি মেয়র আরিফ


এছাড়া অতিমাত্রায় রাজনীতির প্রভাব আর অবকাঠামোগত সমস্যাতো রয়েছেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিতে মাস্টার প্লানের কথা বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  ডকুমেন্টেশন আর প্রচারণার অভাবে প্রকৃত তথ্য সবার কাছে পৌঁছায়নি বলেও দাবি তাদের।

১৯২৫ সালে প্রথমবারের মতো কোনো গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর থেকে নানা গবেষণায় যুক্ত থেকেছেন বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। যা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে দেশের উন্নয়নে।

news24bd.tv/ নাজিম