নিখোঁজদের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্বজনেরা

ফাইল ছবি

নিখোঁজদের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন স্বজনেরা

সুমন সিকদার

নিখোঁজের ৫ দিন পরও বরগুনায় সন্ধান মেলেনি লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ প্রিয়জনদের। স্বজন হারানোর বেদনায় শোকাহত বরগুনার বিভিন্ন গ্রাম। নিখোঁজ স্বজন ও অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা ২৩ মরদেহ শনাক্ত করতে বরগুনায় চলছে নমুনা সংগ্রহ। কারো পরিচয় সনাক্ত করা যাচ্ছে, কারোটা আবার অজ্ঞাত।

এদিকে সুগন্ধা নদীতে উদ্ধার অভিযানে একের পর এক মিলছে মরদেহ। স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে আছে নদীপাড়ের এলাকা।

বরগুনার বেতাগী উপজেলার বুড়ামজুমদার ইউনিয়নের রিসান সিকদার রনি। ঢাকা সিভিল এ্যাভিয়েশন স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তিনি।

মাঝ নদীতে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সময় দৌড়ে মা ও বোনকে নিয়ে লঞ্চের ছাদে ঠাঁই নেওয়ার চেষ্টা বিফলে যায় তার। লঞ্চে আগুনের ভয়াবহ বাড়তে থাকলে মায়ের কথা মতো রনি নদীকে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও, মা রীনা বেগম আর ছোট বোন রুসনি আক্তার লীমা এখনও নিখোঁজ।  

রনির মা আর বোনের মতো বরগুনায় এখনো নিখোঁজ ৩৬ জনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরিচয় শনাক্ত করতে না পেরে অজ্ঞাত পরিচয় ২৩ মরদেহ দাফন করা হয়েছে বরগুনার পোটকাখালী গণকবরে।

বরগুনা জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে ৩৬ জন নিখোঁজের দাবিদার স্বজনেরা তাদের প্রিয়জনকে খুঁজে পেতে নিববন্ধন করেছেন। এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির পক্ষ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে বরগুনায় চলছে নমুনা সংগ্রহ।

এদিকে এই মর্মান্তিক লঞ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থলে এখনো চলছে উদ্ধার অভিযান। একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে মরদেহ। কারো পরিচয় শনাক্ত করা যাচ্ছে কারোটা আবার অজ্ঞাত।

লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রিয়জন হারানো স্বজনদের এখন একটাই দাবি একবারের জন্য হলেও নিখোঁজ প্রিয়জনের পরিচয় নিশ্চিত হতে চায় তারা।

আরও পড়ুন:

বসুন্ধরার কম্বল পেয়ে বৃদ্ধ বললেন, ‘আল্লাহ তাগেরে বাঁচায় রাখুক’

news24bd.tv/  তৌহিদ