বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে ২৬ বছর। যা প্রতিনিধিত্ব করে সমগ্র স্বাস্থ্যসেবাকে। বিশ্ব নন্দিত কমিউনিটি ক্লিনিক, ইপিআই কার্যক্রম, স্বাস্থ্য সূচকে অভাবনীয় সাফল্য আর অবকাঠামোগত উন্নয়ন তো আছেই সাথে যোগ হয়েছে প্রযুক্তিগত চিকিৎসাও। তবে প্রান্তিক পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া এখনও চ্যালেঞ্জ।
একটি স্বাধীন সার্বভোম রাষ্ট্রের মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশব্যাপি থানা হেলথ কমপ্লেক্স গঠনের পরিকল্পনা করেন। ৩ লাখ মানুষের জন্য তখন ছিলো একটি করে হেলথ কমপ্লেক্স।
বিজয়ের ৫০ বছরে দাঁড়িয়ে সেই দেশে এখন প্রতি ৬ হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক। জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় যা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন।
৫০ বছরের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন দেখছে, অটোমোশন, রোবোটিক সার্জারিসহ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ চিকিৎসা সেবায় আরও এগিয়ে যাবে। অটোমোশন ও রোবোটিক সার্জারিসহ আধুনিক চিকিৎসা হবে এদেশেই।
স্বাস্থ্য খাতে, অবকাঠামোগত উন্নয়ন গুলোতে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের সেবা নিশ্চিত করাকে জরুরী বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী।
কারিগরি দিক বিবেচনায়, দেশের বর্তমান স্বাস্থ্যসেবায় গতি আনতে মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও চিকিৎসকদের মাঝে যোগাযোগ স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন চিকিৎসক সংগঠনগুলো।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ বলছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কাটাতে হবে। এই জটিলতার কারণে আমরা অনেক কিছু করতে পারছি না। আর এই জায়গাগুলো আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।
থানা হেলথ কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা বিপ্লব থেকে – ভ্যাকসিন হিরো। সকল অর্জনের পর ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবা স্বপ্ন দেখাচ্ছে নতুন বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন
ঢাকার যানজটেই শেষ জিডিপির প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকা
news24bd.tv এসএম