প্রতিবারের ন্যায় এবারও গাজীপুরের পিরুজালী এলাকায় নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিন।
মোমবাতি প্রজ্বালন, কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে লেখককে স্মরণ করছেন তার পরিবার, স্বজন, নুহাশপল্লীর কর্মী ও ভক্তরা।
প্রিয় লেখকের জন্মদিনে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে নুহাশ পল্লীতে ভিড় করেছিলেন ভক্তরা। এখানে জন্মদিনে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, যারা হুমায়ূন আহমেদকে ভালোবাসেন তারা তাকে আজীবন ভালোবেসে গেছেন, যাবেন।
আরও পড়ুন
ডিভোর্স দেয়ায় সাবেক স্ত্রীর বুকে ও মাথায় প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত
জনপ্রিয় এ লেখকের স্মৃতি ধরে রাখতে বিভিন্ন প্রত্যাশার কথা আগে বলেছিলেন শাওন।
শাওন বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে অনেকে কাজ করতে চান। তাদের বলব, যা ইচ্ছা তাই করবেন না, এটা অনুরোধ। গত দশ বছর ধরে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্চা হচ্ছে, পিএইচডি হচ্ছে। সেই চর্চা বাড়ুক, সবাই হুমায়ূন আহমেদ সম্পর্কে জানুক। ভুল কোনো চর্চা না হোক কারণ হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সম্পদ।
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ, মা আয়েশা ফয়েজ। তিন শতাধিক গ্রন্থ লিখেছেন হুমায়ূন আহমেদ। তার প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’। প্রকাশ হয় ১৯৭২ সালে। হুমায়ূন তার লেখায় জোছনা, বৃষ্টি, প্রকৃতি তুলে ধরেছেন। প্রকৃতিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন তার লেখার মাধ্যমে।
২০১১ সালে হুমায়ূন আহমেদের শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ে। লম্বা সময় সিঙ্গাপুরে চলে তার চিকিৎসা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একাধিক কেমোথেরাপি দিয়েও অবস্থাও উন্নতি করা যাচ্ছিল না। কৃত্রিম লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল গুণী এ লেখককে।
পরে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ৬৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে যান হুমায়ূন আহমেদ। নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। দেশে ফিরিয়ে এনে তারই হাতে গড়া নুহাশ পল্লীতে দাফন করা হয় তাকে।
news24bd.tv/ কামরুল