বিশ্বের প্রথম যুক্তিবাদী যন্ত্রমানবী সোফিয়া। গেল বুধবার নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে জাতিসংঘের এক বৈঠকে হাজির হয়েছিল সে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চালিয়ে গেল দীর্ঘ বক্তৃতা।
বক্তব্যের পর শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
জন্মের পর প্রাকৃতিক নিয়মেই মানুষের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে। কিন্তু আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পুরোপুরি যন্ত্রনির্ভর।
বর্তমানে বায়ুস্তরের ওপরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বছরের পর বছর কাটান মহাকাশচারীরা। এই গোটা উন্নয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লেগেছে কোটি কোটি বছর। বিজ্ঞানীদের দাবি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ঢের কম সময়ে এই উন্নয়ন প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলা যায়। আর এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধিকারী রোবট। তাই সোফিয়ার মতো রোবটকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন দেশে সরকারি পরিসেবায় আরও গতি আনতে চাইছে জাতিসংঘ।
মঞ্চে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোফিয়া বলে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ দেয়। তাই পৃথিবীকে অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচাতে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ রাখতেই প্রযুক্তি আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পূর্ণ উপযোগ করা উচিত।
সোফিয়ার মধ্যে মানুষেরও কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে দাবি করেছে সে। জানিয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে দারিদ্র, ক্ষুধা, দুর্নীতি যেমন রোধ করা সম্ভব, তেমনি সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতও করা যাবে। দূর করা যাবে লিঙ্গ বৈষম্যও। শুধু তাই-ই নয়, সোফিয়ার কথায়, যন্ত্র ও রোবট জীবনকে সহজ করার জন্যই তৈরি।
উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রথম যন্ত্রমানবী সোফিয়ার আবিষ্কারক হংকংয়ের হ্যানসন রোবোটিক্স। গেল বছরের ৫ ডিসেম্বর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের প্রদর্শনী অনুষ্ঠান ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭’ উপলক্ষে ঢাকা ঘুরে গেছে সোফিয়া।
সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস, দ্য কুইন্ট, ক্লিপার