প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বেড়িবাঁধ ভাঙনের প্রভাব পড়ছে খুলনার উপকূলীয় গ্রামীণ অর্থনীতিতে। কয়েকদিনের অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পাইকগাছা ও কয়রার উপজেলার বেশিরভাগ চিংড়ি ঘের। নষ্ট হয়েছে বসতবাড়ি, ক্ষেতের ফসল। বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃষি নির্ভর অর্থনীতিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রথম ধাক্কা লাগে প্রান্তিক চাষিদের ওপরে।
খুলনার পাইকগাছার সোলাদানা এলাকার কৃষক মিরাজুল শেখ। পরের জমি লিজ নিয়ে চিংড়ি চাষ করেন। করোনার কারণে এমনিতে চার মাস ধরে আয়-রোজগার বন্ধ।
নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বাঁধ উপচে লবনপানি লোকালয়ে ঢুকছে। তাই উপকূলীয় এলাকায় জীবন-জীবিকা নিশ্চিত করাই এখন অন্যতম চ্যালেঞ্জ বলছেন সরকারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী।
সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘের মালিকদের জন্য ঋণের ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন পাইকগাছার মৎস্য কর্মকর্তা।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সুশীলনের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা নুরুজ্জামান বলছেন, উপকূলের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি এখন অনেকটাই ধসে পড়েছে। জীবন-জীবিকা রক্ষায় টেকসই বাঁধ নির্মানের বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সিডর থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে আইলা, মহাসেন, ফনী, আম্পান-বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূল ক্ষতির শিকার হয়।
নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ