সিডরের একযুগ পরেও নির্মাণ হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ

সিডরের একযুগ পরেও নির্মাণ হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ

সুমন শিকদার, বরগুনা

ঘূর্ণিঝড় সিডরের একযুগ পেরিয়ে গেলেও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার পদ্মা ও জিনতলা এলাকায় নির্মাণ করা হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ। গেল ১২ বছরে অন্তত ১২ বার ভেঙেছে বাঁধ ২টি। সর্বশেষ গেল বৃহস্পতিবার অস্বাভাবিক জোয়ারে বলেশ্বর নদী গর্ভে বিলীন হয় পদ্মা বেড়িবাঁধের ১ কিলোমিটার এলাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবারই নামমাত্র মেরামত করে ঠিকাদাররা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

 

news24bd.tv

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বলেশ্বর ও বিষখালী নদী ঘেষা জিনতলা ও পদ্মা বেড়িবাঁধ। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে জিনতলা ও পদ্মা বেড়িবাঁধ দুটি ভেঙে যায়। এরপর দীর্ঘ ১২ বছরেও স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়নি বেড়িবাঁধ দুটি। এ অবস্থায় সামান্য জোয়ারের পানিতেই ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তলিয়ে যায় বিস্তির্ণ এলাকা।

স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ৮ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দিনে-রাতে ভাসছে জোয়ারের পানিতে।

স্থানীয়রা বলছেন, গেল বৃহস্পতিবার অস্বাভাবিক জোয়ারে ধলেশ্বর নদী গর্ভে বিলীন হয় পদ্মা বেড়িবাঁধের ১ কিলোমিটার এলাকা। এতে ফসলি জমি ও মাছের ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ অবস্থায় পদ্মা ও জিনতলা এলাকায় স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে একসময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এখানকার ৮টি গ্রাম।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বরং ভাঙন দেখা দিলেই বার বার অস্থায়ী মেরামত করে ঠিকাদাররা হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।   

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় পরিচালক আবু জাফর মো. আলমগীর জানান, বেড়িবাঁধ মেরামতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তা বাস্তবায়ন হবে।

জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলছেন, দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উপর নজরদারি বাড়ানো হবে।

শুধু আশ্বাস নয় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাধ দুটি সংস্কারে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ  নেবে  এমন প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্তদের ।  

নিউজ টোয়েন্টিফোর / সুরুজ আহমেদ