লীনা খানের ওপর হঠাৎ ক্ষেপেছেন কেন মার্কিনী ব্যবসায়ীরা 

লীনা খান

লীনা খানের ওপর হঠাৎ ক্ষেপেছেন কেন মার্কিনী ব্যবসায়ীরা 

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ফেডারেল ট্রেড কমিশনের প্রধান লীনা খানকে পদচ্যুত করতে চান রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের বড় বড় মার্কিন ব্যবসায়ী। ডেমোক্রেটিক পার্টির  দুই শতকোটিপতি—ব্যারি ডিলার ও রিড হফম্যান। তাঁরা আশা করছেন, কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে লীনা খানকে আর পদে রাখা হবে  না।
অবশ্য বাইডেনের পছন্দ ছিল লীনা খানকে।

লীনা খানের পিজা এন্ড পলিটিক্স বইটি তাকে মার্কিন রাজনীতির মহলে জনপ্রিয় করে তোলে।  
সম্প্রতি ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) প্রতিযোগিতাবিহীন চুক্তি নিষিদ্ধ করেছে। এটি করা হয়েছে লীনা খানের তত্ত্বাবধানে। অঅর এর ফলেই ব্যবসায়ী সমাজ ক্ষেপেছেন তার ওপর।
সুত্র, সিএনএন।  

ব্লুমবার্গের কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্যারি ডিলার বলেন, আইন যতটা অনুমোদন দেয়, তিনি ঠিক সেই পরিমাণ অর্থ কমলা হ্যারিসের প্রচারণার জন্য দেবেন। অন্যদিকে সিএনবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, লীনা খানকে সরাতে তিনি হ্যারিসের কাছে সুপারিশ করবেন। কারণ, একটি ব্যবসা দক্ষভাবে বড় হতে যা করতে হয়, লীনা খান তার ‘প্রায় সব কিছুর’ বিপক্ষে।
লীনা খানের অধীনে এফটিসি ব্যবসা একীভূতকরণ ঠেকানোর বিষয়ে একধরনের পরিচিতি অর্জন করেছে। তবে বাস্তবে এই সংস্থা বছরে ২ শতাংশেরও কম চুক্তি পর্যালোচনা করে, আর প্রতিরোধ করে ১ শতাংশের কম চুক্তি।
যেসব চুক্তি বন্ধ করতে এফটিসি মামলা করেছিল, সেগুলোর মধ্যে ছিল নিত্যপণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ক্রোগার ও অ্যালবার্টসন।  
উল্লেখ্য, লীনা খানের জন্ম লন্ডনে। তাঁর মা–বাবা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তাঁর বয়স যখন ১১ বছর, তখন তার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়।  লীনা খানের ২০১৭ সালে ইয়েল ল স্কুলে যখন থার্ড ইয়ারে পড়ছিলেন তখন  ‘অ্যামাজনস অ্যান্টিট্রাস্ট প্যারাডক্স’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে পরিচিতি পান।  
ওই নিবন্ধে লীনা খান বলেন, বর্তমানে প্রতিযোগিতাবিষয়ক যে আইন আছে তার মূল লক্ষ্য ভোক্তামূল্য কমিয়ে রাখা। কিন্তু অ্যামাজনের মতো প্ল্যাটফর্মভিত্তিক যে ব্যবসা মডেল রয়েছে, তাদের প্রতিযোগিতাবিষয়ক নিয়মনকানুন মেনে চলতে এ আইন কাজ করছে না। তাই বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন দরকার। সূত্র, নিউইয়র্ক  টাইমস।

news24bd.tv/ডিডি