তোপের মুখে সুশান্ত পাল

সুশান্ত পাল

তোপের মুখে সুশান্ত পাল

অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি প্রশ্নফাঁস এবং কোটা ইস্যু নিয়ে দেশব্যাপী চলছে তুমুল বিতর্ক। এসব ইস্যু নিয়ে কিছু লিখতে চান না জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছেন ৩০তম বিসিএসের কাস্টমস কর্মকর্তা ও ক্যারিয়ার বিষয়ক বক্তা সুশান্ত পাল।

গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) তার দেয়া এ পোস্ট ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়। কারণ একজন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে তার কাছ থেকে কোটাবিরোধী বা প্রশ্নফাঁসবিরোধী অবস্থান দাবি করছে সবাই।

সেখানে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে সুশান্ত পাল লিখেছেন, 'কোটা এবং প্রশ্নফাঁস বিষয়ে কিছু না লিখলে যদি আপনাদের খারাপ লাগে, তাহলে এত কথা না বলে আমাকে আনফলো করে দিন। (আরও ভালো হয় ব্লক করে দিলে। )

এসব নিয়ে আমি আপনার মনের মতো করে লিখব না। এটা আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

'

সেই পোস্টে তিনি আরও লেখেন, এত বেশি বিরক্ত করবেন না। আমি আপনার ফরমাশের চাকর নই। এভাবে সহজ করে বুঝিয়ে বলার পরও যদি বিরক্ত করে যান, তাহলে বুঝব, আপনার কোনো লজ্জাশরম ও কাণ্ডজ্ঞান নেই। আপনি আমাকে ব্লক না করলে আমি আপনাকে ব্লক করব এবং অবশ্যই করব। এতে আপনার সম্মান বাড়বে না, কমবে। আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি নিজেও নিজের সম্মান বজায় রাখুন। আপনার হাতে কাজ নেই, আর আমার হাতে সময় নেই। এ কারণেই আমি চাইছি না যে, আপনি মনে এত কষ্ট নিয়েও আমাকে ফলো করুন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের সহায় হোন। '

এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বা ব্যাখ্যা করতে না চাওয়ায় নেতিবাচক মন্তব্য করছেন অনেকেই। কেউ লিখেছেন, আবেদ চাচার দরবারে দেখা করছিলেন নাকি? কেউ লিখেন, প্রশ্ন কেনার জন্য কত টাকা দিয়েছিলেন? কেউ আবার আনফলো ডান লিখে কমেন্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। পোস্টটিতে ২৬৮টি কমেন্টস করা হয়। রিঅ্যাক্ট পড়ে ৩৪ হাজার। শেয়ার হয় আড়াই হাজারের অধিক। পরে কমেন্টস করার সুযোগ বন্ধ করে দেন সুশান্ত পাল।

তবে এ বিষয়ে স্ট্যাটাস দিয়েও ক্ষান্ত হননি তিনি। কমেন্টে দিয়েছেন অনেকের রিপ্লাইও।

ওই পোস্টেরই কমেন্টে সুশান্ত কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে লেখেন, ‘তোমাদের তো কোটা নিয়ে এত দুঃখ থাকার কথা নয়। তোমরা তো এমনিতেই চাকরি পাবে না- কোটা থাক না থাক; আরে ভাই, প্রিলিমিনারিই তো পাশ করতে পারবে না! লজ্জাশরম ও পড়াশোনা থাকলে নিশ্চয়ই এখানে পড়ে থাকতে না। ’

এসব বিষয়ে নিউজ টোয়েন্টিফোরের পক্ষ থেকে সুশান্ত পালের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রদত্ত নম্বরে কল দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে অশোভন মন্তব্য ও কটূক্তি করার অভিযোগ ওঠার পর এই কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক প্রজ্ঞাপনে সেই সময় বলা হয়েছিলো, সুশান্ত পাল নামের ওই কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত করা বা স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। একই সাথে তার মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও আদেশ দেওয়া হয়েছিল প্রজ্ঞাপনে।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে আদিম বর্বরতা চলে, হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব ব্যাপারে উদাসীন-এমন সব কথা লিখে সুশান্ত পাল ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে সুশান্ত পাল তার ফেসবুকে ক্ষমাও চেয়েছিলেন।

news24bd.tv/SC