স্যামস্যাং এর কর্মীরা আন্দোলনে কেন?

স্যামসাং এর আন্দোলনরত কর্মীরা

স্যামস্যাং এর কর্মীরা আন্দোলনে কেন?

অনলাইন ডেস্ক

ইলেকট্রনিক্স এবং স্মার্টফোন উৎপাদনকারী বিশ্বের অন্যতম প্রধান কোম্পানি স্যামসাং এখন নানা সমস্যার সম্মুখীন। দক্ষিণ কোরিয়ার এই সংস্থায় হাজার হাজার কর্মী বর্তমানে ধর্মঘট ডেকেছে। স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স সংস্থার ৫৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম এত বড় আকারের ধর্মঘট ডাকল স্যামসাংয়ের কর্মীরা।  
স্যামসাংয়ের কর্মীরা মূলত তাদের বেতন ও ছুটির দিন নিয়ে ক্ষুব্ধ।

গত বছর প্রযুক্তিখাতের চিপ ইউনিটে কর্মরত ব্যক্তিদের ব্যবসায় লোকসান দেখিয়ে বোনাস দেওয়া হয়নি। ফলে ক্ষোভের মূলে এই কারণও রয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন স্যামসাংয়ের কর্মীরা। কোম্পানির শ্রমিক ইউনিয়ন ন্যাশনাল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট সোন উ-মোক এএফপিকে বলেন, ‘বৈতনিক ছুটির দাবিতে আমরা ধর্মঘট শুরু করেছি এবং কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার আগ পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।

স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের ইউনিয়নভুক্ত কর্মীরা (বুধবার ১০ জুলাই) বলেছে যে তারা একটি অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে যাবে, এটি এমন এক ধর্মঘট  যা প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্যামসাং এর সেমি কন্ডাক্টর ব্যবসাকে ব্যাহত করতে পারে। বুধবার (১০ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক সংগঠন ন্যাশনাল স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ইউনিয়নের (এনএসইইউ) বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।  
তবে ইউনিয়নের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রথম সাধারণ ধর্মঘটের পরেও সংলাপে যুক্ত হওয়ার কোন ইচ্ছা কোম্পানি দেখায়নি। তাই ১০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় সাধারণ ধর্মঘট ঘোষণা করা হলো, যা লাগাতার চলবে।  
ইউনিয়ন বলেছে যে এই সপ্তাহে তার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছু স্যামসাং অপারেশন এবং উৎপাদন ধীর হয়ে গেছে। কিন্তু  স্যামসাং এর একজন প্রতিনিধি এ দাবি প্রত্যাখান করে বলেছেন যে, ধর্মঘট উত্পাদন প্রভাবিত করেনি। তবে স্যামসাং ইউনিয়নের আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

ইমরান

news24bd.tv/ডিডি
 

এই রকম আরও টপিক