মতিউরের স্থাবর সম্পদ প্রায় ৫০০ কোটি টাকার

মতিউর রহমান

 মতিউরের স্থাবর সম্পদ প্রায় ৫০০ কোটি টাকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

মতিউর রহমান সরকারি চাকরি করে দেশে যে সম্পদ করেছেন তা জানলে যে কেউ অবাক হবেন। একটা সরকারি চাকরি করে এতো টাকা ও সম্পদের মালিক হন কীভাবে  এটাই এখন প্রশ্ন। এরমধ্যে দেশে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, জমি, ফ্ল্যাট-প্লট, রিসোর্ট রয়েছে।

 

জানা গেছে , খোদ রাজধানীতেই তার রয়েছে দুই ডজন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। গুলশানের সাহাবুদ্দিন পার্কের পাশে ৮৩ নম্বর রোডের ১১ নম্বর প্লটে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের বেগ পার্ক ভিউতে রয়েছে চারটি ফ্ল্যাট। লালমাটিয়ার ৮ নম্বর রোডের ৪১/২ ইম্পেরিয়াল ভবনে রয়েছে দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট । কাকরাইলে ও ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে একাধিক ফ্ল্যাটের হদিস পাওয়া গেছে।

বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ডেভেলপার কম্পানি শান্তা ডেভেলপারের করা বিভিন্ন ভবনে তার আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা গেছে। এসব ফ্ল্যাট প্রথম স্ত্রীর সন্তান ফারজানা রহমান ঈপ্সিতা ও ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের নামে কেনা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, আইনগত ঝামেলা এড়াতে নিজের স্ত্রী, সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন মতিউর রহমান। এছাড়া নরসিংদী , টঙ্গীতে রয়েছে বাসা।

এছাড়া প্রাডো, প্রিমিও ও ক্রাউনের মতো চারটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে সন্তান ও স্ত্রীদের নামে।

টঙ্গীতে ৪০ হাজার বর্গফুটের এসকে ট্রিমস নামের ব্যাগ ম্যানুফ্যাকচারিং ও অ্যাকসেসরিজ কারখানা রয়েছে তার। যদিও কাগজে-কলমে কারখানার মালিক তার ভাই এম এ কাইয়ুম হাওলাদার। ময়মনসিংহের ভালুকায় ৩০০ বিঘা জমিতে গ্লোবাল শুজ নামের দুটি জুতা তৈরির কারখানা রয়েছে। নরসিংদীর রায়পুরায় ওয়ান্ডার পার্ক অ্যান্ড ইকো রিসোর্ট রয়েছে। এসব রিসোর্টের মালিকানায় আছেন তার ছেলে ও মেয়ে। এ ছাড়া পূর্বাচলে আপন ভুবন পিকনিক অ্যান্ড শুটিং স্পটের মালিকও তিনি।

এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে এফডিআর ও শেয়ারবাজারে নিজ নামে অর্ধশত কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে।

news24bd.tv/ডিডি