ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির কাছাকাছি দক্ষিণ আফ্রিকা

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির কাছাকাছি দক্ষিণ আফ্রিকা

অনলাইন ডেস্ক

এবারের বিশ্বকাপে প্রথম পর্বে নড়বড়ে পারফরম্যান্স থাকলেও ভাগ্যবিধাতা শেষ হাসি ঠিকই ফুটিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার খেলোয়াড়দের মুখে। নেপালের কাছে মাত্র ১ রানের জয় এবং বাংলাদেশের কাছে মাত্র ৪ রানের জয় নিয়ে বিশ্বকাপের সুপার এইটে গ্রুপ টু থেকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিফা।

কিন্তু শুক্রবার (২১ জুন) সুপার এইটের দ্বিতীয় ম্যাচে সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের রীতিমতো রুখে দিলো দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। ডেথ বোলিংয়ের অসাধারণ নৈপুণ্যে ৭ রানে ইংলিশদের হারিয়েছে প্রোটিয়ারা।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে থেমে যায় থ্রি লায়ন্স। শেষ তিন ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২৫ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। এরপরও দারুণ ডেথ বোলিংয়ে ইংলিশদের থেকে জয় ছিনিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল প্রোটিয়ারা।

শুক্রবার (২১ জুন) টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড।

আগে ব্যাট করতে নেমে  রিজা হেনড্রিকস ও কুইন্টন ডি ককের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। হেনড্রিকস ঠান্ডা মাথায় খেলতে থাকলেও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান ডি কক। ২২ বলে তুলে নেন ফিফটি। উদ্বোধনী জুটিতে হেনড্রিকসের সঙ্গে গড়েন ৫৯ বলে ৮৬ রানের জুটি। দশম ওভারে মঈন আলীর বল হ্যারি ব্রুকের হাতে ক্যাচ দিয়ে হেনড্রিকস ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ২৫ বলে ১৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া ওপেনার।

তবে ডি কক ব্যাট চালানো থামাননি। যদিও বেশিক্ষণ আর টেকেননি। জোফরা আর্চারের শর্ট বল তার ব্যাটের কাণায় লেগে পেছনে গেলে এক হাতে দারুণভাবে তালুবন্দি করেন বাটলার। ৩৮ বলে ৬৫ রান করে ফেরেন ডি কক। তিনে নেমে ৯ রান করে রান আউট হন ক্লাসেন। চারে নামা মিলার এসে ধরেন দলের হাল। তবে শেষ ওভারে বিদায় নিতে হয় তাকে। আর্চারের বলে তার নেওয়া শট লং অফে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ ধরেন ব্রুক। ২৮ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন প্রোটিয়া ব্যাটার।

ওভারটির পরের বলেই ইয়ানসেনকে ফেরান আর্চার। শেষ ওভারে এই দুই উইকেটসহ তিনি মোট ৩ উইকেট নেন। তবে ৪ ওভার বল করে দেন ৪০ রান। একটি করে উইকেট নেন মঈন আলী ও আদিল রশিদ।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ফিল সল্টকে ১১ রানে বিদায় করেন রাবাদা। পরে দ্রুত জনি বেয়ারেস্টো (১৬) ও জস বাটলারকে (১৭) তুলে নেন কেশভ মহারাজ। পঞ্চম উইকেটে এসে প্রতিরোধ গড়েন হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোন। শুরুটা তারা ধীরগতির করলেও খানিক পর চালান তাণ্ডব। ৪২ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের আশা জাগান তারা। যদিও সেটি সম্পন্ন করতে পারেননি।

অষ্টাদশ ওভারে রাবাদার বল স্কয়ার লেগে উড়িয়ে মারেন লিভিংস্টোন। বাউন্ডারির কাছ থেকে সেটি তালুবন্দি করেন ট্রিস্টান স্টাবস। ১৭ বলে ৩৩ রান করে বিদায় নেন ইংলিশ ব্যাটার। তবে ব্যাট চালাতে থাকেন ব্রুক। ৩৪ বলে ফিফটি ছুঁয়ে তিনি শেষ ওভারে বিদায় নিলে হতাশাই বাড়ে দলের। নরকিয়ার স্লোয়ার তার ব্যাটে লেগে ওপরে উঠে যায়, দারুণ এক ক্যাচে তাকে বিদায় জানান মার্করাম। ৩৭ বলে ৭ চারে ৫৩ রান করে ফেরেন ব্রুক। পরে বাকিরা রান তাড়া করতে না পারলে হারতে হয় তাদের।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রাবাদা ও মহারাজ। একটি করে উইকেট শিকার করেন ব্যার্টম্যান ও নরকিয়া। ৩৮ বলে ৬৫ রান করা ডি কক হন ম্যাচসেরা।

news24bd.tv/SC