আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও (ILO) এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল কোয়ালিশন ফর সোশ্যাল জাস্টিস এ যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার জেনেভায় কোয়ালিশনের প্রথম ফোরামে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে যোগদানের সরকারি সিদ্ধান্ত কোয়ালিশন সচিবালয়ে পৌঁছে দেয়া হয়।
বহুপাক্ষিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব জোরদারকরণের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সামাজিক ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার ঘাটতি পূরণ করে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জনে অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে এ কোয়ালিশন প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০২৩ সালের জুনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এএলও এর মহাপরিচালক গিলবার্ট হোংবোর আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা জেনেভায় ‘World of Work Summit-Social Justice for All’ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
সম্মেলনে কোয়ালিশনের রূপরেখা নিয়ে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ নিজ নিজ মত তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোয়ালিশন গঠনের ক্ষেত্রে তাঁর পাঁচ দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ দফা সুপারিশ ও অন্যান্য বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে কোয়ালিশনের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয়টি অগ্রাধিকার চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে অসমতা ও বৈষম্য মোকাবেলা, শ্রমিক অধিকার ও মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা, টেকসই ব্যবসা ও শোভন কর্মসংস্থান উল্লেখযোগ্য।
গ্লোবাল কোয়ালিশনে ইতোপূর্বে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, মেক্সিকো সহ ৭২টি দেশের সরকার যোগ দিয়েছে। বাংলাদেশ ৭৩তম দেশ হিসেবে গতকাল এ গুরুত্বপূর্ণ কোয়ালিশনের অংশীদার হলো। সরকার ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শ্রমিক সংগঠন, মালিক সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা, গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থাসমূহ, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও এর অংশীদার।
ন্যায্যতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসাবে সরকার এ কোয়ালিশনে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।