গরু পাচারকারীদের হামলায় বিএসএফ সদস্য আহতের অভিযোগ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত

গরু পাচারকারীদের হামলায় বিএসএফ সদস্য আহতের অভিযোগ

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার আন্তর্জাতিক সীমান্তে গরু পাচারকারীদের হামলায় এক বিএসএফ সদস্য আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) ঝিনাইদহের মহেষপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গরু পাচারকারীরা বাংলাদেশের নাগরিক; তবে বিজিবির পক্ষ থেকে পাল্টা বলা করা হয়েছে, ওই চোরাকারবারিরা ভারতের নাগরিক।     

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দুদেশের গরু পাচারকারীরা।

তাদের রুখতে টহল বাড়িয়েছে বিজিবি-বিএসএফ। তবে থেমে নেই চোরাকারবারিরা।  

বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার জানায়, রাত পৌনে ১১র দিকে বিএসএফের থার্মাল ইমেজারে (তাপমাত্রা দিয়ে মানুষের অবস্থান শনাক্তের যন্ত্র) সীমান্তে ৬-৭ জনের একটি দলের সন্দেহজনক গতিবিধি ধরা পড়ে। নিকটবর্তী সৈনিককে জানালে তিনি দলটিকে ঝিনাইদহের মহেষপুর অংশ থেকে সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখেন।

চ্যালেঞ্জ করলে বিএসএফ সৈনিকের দিকে তেড়ে যায় চোরাকারবারিরা। এক রাউন্ড গুলি করলেও তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিএসএফ সৈনিককে কুপিয়ে আহত করে তারা। এতে তার কোমর, পিঠ ও ঘাড়ে গুরুতর জখম হয়। অন্ধকার ও ঘন ঝোপ থাকায় ফের সীমান্ত পেরিয়ে যায় চোরাকারবারিরা। আহত সৈনিককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতার এসএসকেএম ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছে।  জড়িতরা বাংলাদেশের নাগরিক বলে দাবি করেছে বিএসএফ। তারা সন্দেহজনক জড়িতদের নাম বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানিয়েছে। বিজিবিও পাল্টা জানিয়েছে জড়িতরা ভারতের নাগরিক এবং তাদের নামের তালিকাও বিএসএফকে হস্তান্তর করা হয়েছে।  

বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এ কে আর্য বলেন, চোরাকারবারিরা যখন তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারে না, তখন তারা মরিয়া হয়ে হামলা করে।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবির ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কের্নেল শাহ মোহাম্মদ আজিজুস শহীদ জানান, পতাকা বৈঠকে বিএসএসফকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় বাংলাদেশি কেউ জড়িত নয়। সম্ভাব্য ভারতীয় চোরাকারবারিদের নামও বিএসএফকে হস্তান্তর করা হয়েছে। জড়িত একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে বলে বিএসএসফ জানিয়েছে।
news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক