ঘরে বসেই মাসে ৩ লাখ টাকা আয় করেন মানস

প্রতীকী ছবি

ঘরে বসেই মাসে ৩ লাখ টাকা আয় করেন মানস

অনলাইন ডেস্ক

২০১৬ সাল থেকে শুরু করেন ফ্রিল্যাংসিং-এর যাত্রা। প্রথমে এ সর্ম্পকে পূর্ণ ধারনা না থাকলেও মানুষের কাছ থেকে শুনেছিলেন অনলাইনে করা যায় লাখ টাকা আয়। ব্যস, ৩ মাসেই রপ্ত করে ফেলেন হাজার হাজার ডলার আয় করার মূলমন্ত্র। বলছি গোপালগঞ্জের মানস মণ্ডলের কথা।

ফ্রিল্যান্সিং শিখে মাসে তিন লাখ টাকা আয় করছেন তিনি। লাখপতি মানস এখন আয় করেন ডলারে।

মানস বলেন, আমার অন এভারেজ ২.৫ হাজার থেকে ৩ হাজার ডলার ইনকাম হয়। আমি ২০১৬ সাল থেকে এ ফ্রিল্যাংসিং কাজটা শুরু করি।

আমি মানুষের কাছে থেকে শুনছি যে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। একটা এজেন্সির সাথে ৩ মাস কাজ করেছিলাম। তখন আত্নবিশ্বাস আসলে যে আমি নিজে কিছু করতে পারব।

তিনি বলেন, এখন লাখপতি হলেও ফ্রিল্যান্সিং করে প্রথম আয় ছিল মাত্র ৫ ডলার। অল্প অংকের এ ইনকাম ছিল তার সামনে এগোনোর পুঁজি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মানসকে।  

তিনি আরও বলেন, প্রথম ইনকামটা আসলে খুব বেশি বলা যাবে না। কম ইনকাম হলেও তার আনন্দ ছিল বিশাল। প্রথম ইনকাম ছিল মনে পরে ৫ ডলারের একটা অর্ডার ছিল। তারপরে দুইরাত ঘুমাতে পারিনি। হয়তো টাকার হিসেবে তবে প্রাপ্তি বা আনন্দ হিসেবে অনেক অনেক বেশি ছিল এটা।  

ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করে কিছুদিন এক কোম্পানিতে করেন চাকরি মানস। এরপরই ঘাড়ে চেপে বসে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার শখ। নিজে যেমন শিখেছেন অনলাইনে আয় করা তেমনি শেখাচ্ছেন তার মতো আরো অনেককে।  

প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য গোপালগঞ্জ শহরে  ইভোকেটিভ আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন মানস। বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল যেমন গোপালগঞ্জে অনেক ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করার পরেও জবের জন্য ঘুরতেছে পড়াশোনার মাঝে কিছু ইনকাম করতে চায় আমি যেমন এই সেক্টরে এত বছর ধরে আছি আমার অভিজ্ঞতাটা শেয়ার করা। মন থেকে শেখানো যাতে তারা কিছু করতে পারে।  

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের উজ্জ্বল ভবিষৎ আছে বলে মনে করেন মানস। এই পেশায় এখনো ট্যাক্স যুক্ত না হওয়ায় একদিকে যেমন খুশি অন্যদিকে পেপাল একাউন্টের জটিলতার অবসান চান এ উদ্যোক্তা।  

মানস আরও বলেন, বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার খুব ভালো। আমাদের আয় এখনো ট্যাক্সের অধীনে যায়নি এটাতে আমরা খুব ইনপ্রায়ার। বাইরে যারা বিদেশিদের সাথে কাজ করি অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে যে পেপাল একটা একাউন্ট এটা দেশে এত এভেইলেবল হয়নি। আমি আবেদন করব তারা যেন এই বিষয়ে একটু গুরুত্ব দেয়। তাহলে দেশে আরো বিদেশি মুদ্রা আনতে পারব। জিডিপিতে অংশগ্রহণ করতে পারব।  

news24bd.tv/TR