মোদি সরকারের কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন!

রাজনাথ, অমিত শাহ, সীতারামন, জয়শঙ্কর তাদের আগের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেই রয়েছেন। ছবি : এএনআই

মোদি সরকারের কে কোন মন্ত্রণালয় পেলেন!

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রোববার রাষ্ট্রপতি ভবন প্রাঙ্গণে শপথ নিয়েছিলেন ৭১ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তার পর থেকেই শুরু হয় জল্পনা, কাকে কোন মন্ত্রণালয় দেওয়া হবে? সোমবার সন্ধ্যা হতেই স্পষ্ট হলো। ৭১ জন মন্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন মোদি। তার পরই কাকে কোন মন্ত্রণালয় দেওয়া হয়েছে, তার তালিকা প্রকাশিত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকছে জনপ্রশাসন, জন-অভিযোগ, পেনশন মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ বিভাগ মন্ত্রণালয়ও থাকছে তার হাতে। বাকি মন্ত্রণালয়গুলো যাদের হাতে যাচ্ছে :

মোদির পরই শপথ নেন রাজনাথ সিং। উত্তর প্রদেশের লখনউ থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি।

গতবারের মতো এই দফায়ও তিনি পেলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
 
রাজনাথের পর শপথ নিয়েছিলেন অমিত শাহ। তিনি গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে জয়ী হয়েছেন। এনডিএ সরকারের দ্বিতীয় দফার মতো তৃতীয় দফায়ও তিনি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নীতীন গডকড়ীরও মন্ত্রণালয়ের বদল হয়নি। তৃতীয় দফায়ও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থাকছে তার হাতে।
 
বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা রোববার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনি রাজ্যসভার সংসদ সদস্য। তিনি হচ্ছেন ভারতের নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী।
 
মধ্য প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রণালয় পেয়েছেন। পাশাপাশি গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রণালয়ও রয়েছে তার হাতে। তিনি বিদিশা লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।
 
নির্মলা সীতারামন এনডিএ সরকারের তৃতীয় দফায়ও থাকছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি রাজ্যসভার সংসদ সদস্য। লোকসভা ভোটে লড়েননি। এস জয়শঙ্করের হাতে থাকছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সাবেক এই আমলা রাজ্যসভার সংসদ সদস্য।
 
হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর পেলেন বিদ্যুৎ ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। হরিয়ানার কর্নাল লোকসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি।
 
জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী কর্ণাটকের মাণ্ড্য আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়।
 
পীযুষ গয়াল পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়। মুম্বাই উত্তর লোকসভা আসন থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
 
ধর্মেন্দ্র প্রধান পেলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি ওড়িশার সম্বলপুর লোকসভা আসনে লড়ে জয়ী হয়েছেন।
 
এইচএএম নেতা জিতনরাম মাঝি পেয়েছেন ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রণালয়। বিহারের গয়া লোকসভা আসন থেকে জয়ী তিনি।
 
রাজীবরঞ্জন (লালন) সিং পেলেন স্থানীয় সরকার, মৎস্য, পশুপালন, ডেইরি মন্ত্রণালয়। বিহারের মুঙ্গের থেকে জেডিইউয়ের টিকিটে তিনি জয়ী।
 
সর্বানন্দ সোনোয়াল পেয়েছেন জাহাজ, বন্দর ও জলপথ মন্ত্রণালয়। তিনি আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। টিডিপি সংসদ সদস্য কিঞ্জারাপু রামমোহন নাইডু পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়।
 
বীরেন্দ্র কুমার পেয়েছেন সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়। মধ্য প্রদেশের টিকমগড়ের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। জুয়েল ওরাওঁ পেলেন কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
 
বিজেপি সংসদ সদস্য প্রহ্লাদ জোশী পেয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য, জনবণ্টন মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়ও পেয়েছেন তিনি।
 
রেল মন্ত্রণালয় তৃতীয় দফায়ও থাকছে অশ্বিনী বৈষ্ণবের হাতে। সেই সঙ্গে তার কাছে রয়ে গেল তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিন মন্ত্রণালয়ও থাকছে তার হাতে।
 
বস্ত্র মন্ত্রণালয় পেলেন গিরিরাজ সিং। বিহারের বেগুসরাইয়ের সংসদ সদস্য তিনি।
 
জ্যোতিরাদিত্য শিণ্ডের দায়িত্বে টেলযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এর আগে তিনি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে।
 
ভূপেন্দ্র যাদব পেলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
 
গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত পেয়েছেন সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। যোধপুরের সংসদ সদস্য তিনি।
 
অন্নপূর্ণা দেবী পেলেন নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ঝাড়খণ্ডের কোডারমার সংসদ সদস্য তিনি।
 
কিরেণ রিজিজু পেলেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মোদির আগের মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
 
মনসুখ মাণ্ডবীয় পেলেন ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে তাকে।
 
হরদীপ সিং পুরী পেলেন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয়।
 
জি কিষাণ রেড্ডি পেলেন কয়লা ও খনি মন্ত্রণালয়। সেকেন্দরাবাদের সংসদ সদস্য তিনি।
 
এলজেপি-আরভি সংসদ সদস্য চিরাগ পাসোয়ান পেলেন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়।
 
সি আর পাতিল পেলেন জলশক্তি মন্ত্রণালয়। গুজরাটের নভসারির সংসদ সদস্য তিনি।
এ ছাড়া দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন পাঁচজন :

রাও ইন্দরজিৎ সিং পেয়েছেন পরিসংখ্যান ও প্রকল্প রূপায়ণ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী তিনি।
 
জিতেন্দ্র সিং পেয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি কর্মিবর্গ, জন-অভিযোগ, পেনশন, পারমাণবিক শক্তি, মহাকাশ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী।
 
আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন অর্জুনরাম মেঘওয়াল। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয়েরও প্রতিমন্ত্রী তিনি।
 
যাদবপ্রতাপ রাও গণপৎ রাও পেয়েছেন আয়ুষ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়েরও প্রতিমন্ত্রী। তিনি শিবসেনার সংসদ সদস্য।
 
জয়ন্ত চৌধুরী পেয়েছেন কর্মদক্ষতা ও উদ্যোগ মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী।

অন্যদিকে এনডিএ সরকারের তৃতীয় দফায় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন ৩৬ জন। বনগাঁর সংসদ সদস্য শান্তনু ঠাকুর হয়েছেন বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন বালুরঘাটের সংসদ সদস্য। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

news24bd.tv/কেআই