নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতা সফি উদ্দিন আহমেদ মারা গেছেন। সোমবার (৩ জুন) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসায় মারা যান তিনি। সফি আহমেদের স্ত্রী তাহেরা খন্দকার সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তাহেরা খন্দকার জানান, বিকেলে ঘুমের মধ্যে সফি আহমেদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
পরে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।সম্প্রতি নিউজ টোয়েন্টিফোর টেলিভিশনের ‘ইনসাইড পলিটিক্স’ প্রগ্রামে অংশ নিয়ে সফি আহমেদ বলেন, ‘আমি তো সারাজীবন বাঁচব না। শুধু আমাকে নিয়ে চিন্তা করলে হবে না, আমার পরবর্তী জেনারেশন কোথায় যাচ্ছে— আমি তা নিয়ে চিন্তা করি। দেশটা কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে চিন্তা করি।
তিনি বলেন, ‘এই সাম্প্রদায়িক বিষয়, যখন বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হলো, তখন আমরা পুরনো ঢাকায় গিয়ে চেক দিয়েছিলাম, যেন দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা না হয়। এখন ছেলেমেয়েদের মধ্যে এটা কাজ করে না। ’
মৃত্যুকালে সফি আহমেদের বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। তিনি দুই ছেলে ও স্ত্রীসহ অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী রেখে গেছেন।
সফি আহমেদের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন। দলের দপ্তর থেকে পাঠানো শোক বার্তায় সফি আহমেদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন শেখ হাসিনা। পৃথক শোক বার্তায় দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শোক জানিয়েছেন।
সফি আহমেদ আওয়ামী লীগের সাবেক সহসম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সাবেক সদস্য ছিলেন। আশির দশকের ছাত্রনেতা ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম এই সংগঠক জাসদ থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে নেত্রকোনা-৪ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছিলেন সফি। কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় তার আর ভোট করা হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা এই ছাত্রনেতা অমৃত্যু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতেই ছিলেন। নেত্রকোনা-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট করার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। স্বপ্ন অপূর্ণ রেখেই চলে গেলেন তিনি।
news24bd.tv/আইএএম