‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত এনআইডি পেলেন ১০৪ জন

সংগৃহীত ছবি

‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত এনআইডি পেলেন ১০৪ জন

অনলাইন ডেস্ক

১০৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে এনআইডি কার্ড তুলে দেন।  

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য বীরত্বের একটি স্মারক এই কার্ড। হয়তো আপনি থাকবেন না।

আপনার কার্ডটা থেকে যাবে। কার্ডটি হারাবেন না। ’

দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চেতনার মূল্যবোধে ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ হয়েছেন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যে পরিমাণ ত্যাগ বাঙ্গালি জাতিকে করতে হয়েছে তা বিশ্বের ইতিহাসে স্মরণীয়।

মুক্তিযুদ্ধের ঝাণ্ডা প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সঞ্চারিত করতে হয়। ’

মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহারের বিধান করে ২০২০ সালে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর আলোকে ২০২২ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট কার্ড দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবে দুই বছর ধরে আটকে ছিল এ কার্যক্রম।

গত ৭ মে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত নতুন স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ফের নতুন করে এ উদ্যোগ নেন।  

এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘একটু বিলম্ব হলেও অনুষ্ঠানটা চলছে। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতো দ্বৈততা তবুও বিলম্ব হলেও হয়েছে তার জন্য আমি আনন্দিত, পরিতৃপ্ত। ’

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, ‘আমার ভাষা আসছে না। আমি আসলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে কথা বলতে পারছি। এটা গৌরবের। আপনারা জাতির সূর্য সন্তান। আপনারা বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের অবস্থান করে দিয়েছেন। ’

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্মার্ট এনআইডিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা।

এর মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সচিব শফিক আলম মেহেদী বলেন, ‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বীরমুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট কার্ড দেওয়া নির্বাচন কমিশনের অনন্য উদ্যোগ। ’

বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। আমি গর্ব অনুভব করছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এখানে আসার মতন যোগ্যতা আমার নাই। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেই এখানে আসতে পেরেছি। ’

news24bd.tv/DHL