ফরিদপুরে ১৫ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরে ১৫ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

অনলাইন ডেস্ক

ফরিদপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে কয়েকটি গ্রামে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি ও দোকানপাট লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছপালা। অনেক জায়গায় বাড়ির বিদ্যুতের মিটার ও চালের টিন উড়ে গেছে ঝড়ে। ফলে সড়কে যান চলাচলসহ বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শুরু হয় কালবৈশাখী তাণ্ডব।  

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ মিনিটের ঝড়ে জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল, ভুলবাড়িয়া, মাইটকুমরা, শেখপুর, ছত্তরকান্দা, রূপাপাত ইউনিয়নের কুমরাইল, কাটাগড়, কলিমাঝি, পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া, জয়পাশা, তামারহাজি, আলফাডাঙ্গা উপজেলার টাবনি, হেলেঞ্চা, পাড়াগ্রাম, বানা, বারাংকুলা ও চরডাঙ্গা এলাকায় ঘরবাড়িসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।  

সহস্রাইল গ্রামের বাসিন্দা তারেক আব্দুল্লাহ জানান, বাড়ি থেকে বাজারের দিকে জরুরি ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলাম।

হঠাৎ করে বাতাস শুরু হলে মেঘের গর্জন হয়। মুহূর্তের মধ্যে উল্লোঘুল্লো বাতাশের গতিবেগ বেড়ে যায়। এ সময় সহস্রাইল স্কুল রোডে জামালের বাড়ির সামনে পঙ্কুজের আমগাছ, রেন্টিগাছ ভেঙে পড়ে। প্রায় ১৫ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় ৫ শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা।

ঝড়ে অনেক ঘরবাড়িও ভেঙে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আলফাডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার ওবায়দুর রহমান জানান, সন্ধ্যার কালবৈশাখীর ঝড়ে বোয়ালমারীর সহস্রাইল বাজার থেকে আলফাডাঙ্গা সড়কে বড় কয়েকটি গাছ ভেঙে পড়ে ছোটবড় যান চলাচল ব্যাহত হয়। খবর পেয়ে আমরা গাছপালা অপসারণ করেছি। এই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জানতে পেরেছি অনেক জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে জানাতে পারবো।

শেখর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইস্রাফিল মোল্যা জানান, সহস্রাইল বাজারের প্রায় ১০টি ঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে। বাজারের অনেক ঘরে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজসহ অন্যান্য মালামাল ছিল। শেখর ও রূপাপাত ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।  

ফরিদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোর্শেদুর রহিম জানান, আজকের ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাদের মেইন লাইন কানাইপুরে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ অনেক জায়গায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া বোয়ালমারীর জয়পাশা, ময়েনদিয়া এলাকায় বিদ্যুতের পিলারও পড়ে গেছে। আলফাডাঙ্গারও কয়েকটি জায়গায় বেশ ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের কর্মীরা মাঠে কাজ করছে। গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের লাইনের ক্ষতি হওয়ায় অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে বিলম্ব হতে পারে।  

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টায় ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ঝড়ে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটা খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতাসহ পুর্নবাসন করা হবে।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক