ফজরের নামাজ পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম একটি। অন্য চার ওয়াক্তের চেয়ে ফজরের নামাজ অধিক গুরুত্বপূর্ণ। ফজর নামাজ আদায় করলে বহু সওয়াব ও পুরস্কারের কথা হাদিসে উল্লেখ হয়েছে। নিম্নে ফজরের নামাজ পড়ার ১০ টি ফজিলতের কথা আলোচনা করা হলো—
১. নবী (ﷺ) বলেছেনঃ ”মুনাফিকদের জন্য ফজর ও ‘ইশার নামাজ অপেক্ষা অধিক ভারী নামাজ আর নেই।
২.রাসূল (ﷺ বলেন, “যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়। অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তালা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন।
৩.রাসূল (ﷺ বলেছেন, ” যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে,আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে। (বুখারী-মুসলিম)
৪. রাসূল (ﷺ বলেছেন,”যে ব্যক্তি ফজর নামাজ / সালাত জামাতের সাথে আদায় করে,আল্লাহতালা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!(সহিহ মুসলিম-১০৯৬)
৫. রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ” যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে,আল্লাহতালা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন। (আবু দাউদ ৪৯৪)
৬.যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন। অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মত দেখবে। (বুখারী-৫৭৩)
৭.যে নিয়মিত ফজরের নামাজ আদায় করবে,সে কখোনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবেনা। (সহিহ মুসলিম ৬৩৪)
৮.ফজরের নামাজ আদায়কারী,রাসূল (ﷺ) এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন। (সুনানে আবু দাউদ,মুসনাদে আহমাদ)
৯.ফজরের দু রাকাত সুন্নত নামাজ, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম। (জামে তিরমিজি – ৪১৬)
১০. ফজরের নামাজ আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে,প্রফুল্ল হয়ে যায়। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
news24bd.tv/aa