ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎ মায়ের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, সৎ মায়ের যাবজ্জীবন

অনলাইন ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার ১২ বছরের শিশু সুমাইয়াকে হত্যার ঘটনায় তার সৎ মা শারমীন আক্তারকে (৩৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শারমিন আক্তার উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের মেহারী গ্রামের শামীম মিয়ার স্ত্রী।

রায়ের সময় শারমীন আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালতে মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মেহারি গ্রামের শামীম মিয়ার প্রথম স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে বিদেশ চলে যান। তিন সন্তানের কথা চিন্তা করে শামীম মিয়া আরেকটি বিয়ে করেন। বড় দুই ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে যান শামীম মিয়া।

অন্যদিকে সুমাইয়া তার মায়ের সঙ্গেই থাকতো। গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে নিজ ঘরে শিশু সুমাইয়ার লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শামীম মিয়া দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। তারা সুমাইয়ার গলায় কালো চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।

এই ঘটনায় সৎ মা শারমিন আক্তারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন শামীম মিয়ার ছেলে আরমিন ভূইয়া। এই মামলায় শারমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের আদেশে দুই দিনের রিমান্ডে আনা হলে শারমিন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন। পরে শ্বাসরোধে হত্যার কথা উল্লেখ করে আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে জানায়, সুমাইয়াকে পড়তে এবং রাতে খাবার খেতে বলায় এ নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়।

এরই জেরে ক্ষোভে দুই হাত দিয়ে চেপে সুমাইয়াকে হত্যা করে শারমিন। এই মামলায় শারমিনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা কসবা থানার উপপরিদর্শক লিয়াকত আলী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল আলম খোকন জানান, রায় প্রদানকালে কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে আদালতের আদেশে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের পর হাজতবাসকালীন সময়টুকু কারাদণ্ডের সময় থেকে বাদ দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞ আদালত আদেশ দিয়েছেন।

news24bd.tv/DHL