ভোট দিতে আন্দোলন করতে হয়-এটা লজ্জার: ড. কামাল

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। 

ভোট দিতে আন্দোলন করতে হয়-এটা লজ্জার: ড. কামাল

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

যারা স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করে না, তারাই মানুষকে ভোট দিতে বাধা দিচ্ছে। আজকে যারা ভোটাধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করতে চায়, তারাই ইয়াহিয়া খানের উত্তরসূরি। এ কথা বলেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।  

রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

পুলিশকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের উত্তরসূরি হিসেবে সাধারণ মানুষের ওপর কোনো হামলা করবেন না। যারা হামলার নির্দেশ দিচ্ছেন, তারা বেআইনিভাবে নির্দেশ দিচ্ছেন-বেআইনি নির্দেশ মানা আপনাদের কর্তব্য নয়।

‘‌‌‌‌সেনাবাহিনীর ভাইয়েরা শহীদদের উত্তরসূরি, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরসূরি। কাজেই আমাদের ভোটাধিকার রক্ষা করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো দায়্ত্বি আপনাদের নেই।

আমরা ভোটাধিকার হারিয়ে ফেললে সংবিধানও থাকবে না, স্বাধীনতাও থাকবে না। ’

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও মানুষকে ভোট দিতে আন্দোলন করতে হচ্ছে-এটি লজ্জার বলে মন্তব্য করে ড. কামাল বলেন, যারা ভোটাধিকার অস্বীকার করেছিলেন, একাত্তরে জনগণের কাছে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে। তখন অনেক ভয়ভীতি অতিক্রম করেই আমরা ভোট দিয়েছিলাম।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা বলেন, তখনকার স্বৈরাচারী সরকার অনেক শক্তিশালী ছিল। বৃহৎ শক্তিগুলো তাদের পেছনে ছিল। কিন্তু আমরা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম নিরীহভাবে। অস্ত্র পেলাম, ট্রেনিং নিলাম, যুদ্ধ করলাম। তারপর যারা অহঙ্কার করেছিল, তাদের ওপর যুদ্ধ জয় করেছিলাম।

‌‘এখন যারা অহঙ্কার করছেন, তাদের সেই ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। ’

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, যেখানে জিয়াউর রহমান ও কাদের সিদ্দিকী, সেখানে স্বাধীনতা আছে। কামাল, রব, মান্না যেখানে আছেন, এর চেয়ে স্বাধীনতা আর কোথায় আছে? দেশের মানুষ ভোট যুদ্ধে অংশ নিতে প্রস্তুত।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, একটি দল কতোটা দেউলিয়া হলে সিনেমার নায়িকার ওপর ভরসা করতে হয়। আমরা সিনেমার হিরোইনদের দেখি টাকা দিয়ে, তাদের দেখে ভোট দেব না।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
 

সম্পর্কিত খবর