জামায়াতের ২৫ নেতার প্রার্থিতা বহাল রেখেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, ‘যেহেতু নির্বাচন কমিশন তাদের প্রার্থিতা অনুমোদনসহ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে, সেহেতু এ পর্যায়ে এসে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই’। রোববার রাত সাড়ে
আটটার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ এ তথ্য জানান।
জামায়াতের ওই প্রার্থীরা ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হবে।
আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে এ সভা হয়।
নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চার ব্যক্তির করা একটি রিট আবেদন গত মঙ্গলবার শুনানি করেন হাইকোর্ট। শুনানি শেষে ওই নেতাদের প্রার্থিতার বিষয়টি ইসিকে তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলে হাইকোর্ট।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আদালত আমাদের তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছিলেন। আমরা আজ নিষ্পত্তি করেছি। কাল আদালতকে জানাব।
রিট আবেদনটি করেন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. আলী হোসেন, মো. এমদাদুল হক ও হুমায়ুন কবির। রিটে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে ২২ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনজন জামায়াত প্রার্থীর ভোটে অংশগ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়।
আবেদনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশন সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
সোমবারের শুনানিতে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। পরে হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন।
ওই রায়ে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০বি (১)(বি)(২) এবং ৯০সি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও সংবিধান পরিপন্থী। রায় এখনও বহাল।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)