মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের নতুন ভবন উদ্বোধন হয়েছে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আধুনিক এই জাদুঘরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ যদি স্বাধীন না হতো তবে এরকম একটি জাদুঘরের স্বপ্নও দেখা যেতো না। স্বাধীনতারই সুফল।
এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে এই জাদুঘর। একটি রোল মডেল হয়ে উঠেছে অন্য দেশেও। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর এখন আন্তর্জাতিক জাদুঘর সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব সাইট্স্ অব কনসান্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব মিউজিয়ামের সদস্য।
নিউ ইয়র্কের টেনেমেন্ট হাউজ মিউজিয়াম, সেনেগালের স্লেভ মিউজিয়াম, দক্ষিণ আফ্রিকার ডিস্ট্রিক ৬ মিউজিয়াম,কম্বোডিয়ার খমের রোগ মিউজিয়াম ও চেক প্রজাতন্ত্রের অ্যান্টি-হলোকাস্ট মিউজিয়ামের মতো মতোই বিখ্যাত হয়ে উঠেছে এই জাদুঘর।
বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা বাংলাদেশ বেড়াতে এলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে যান। এদেশের ইতিহাস জানতে।
ঢোকার পথেই প্রজ্বলিত আগুনের শিখা
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ঢোকার পথেই চোখে পড়বে প্রজ্বলিত আগুনের শিখা যা পুরনো ভবনটি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। রয়েছে ভাস্কর্য আর ভবনের ওপরে তাকালে চোখে পড়বে যুদ্ধবিমান। সোমবার থেকে শনিবার খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
২০০৮ সালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থায়ী মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণে সরকারের পক্ষ থেকে ০.৮২ একর জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ডের মাধ্যমে স্থাপত্য নকশা চূড়ান্ত করা হয়। ৭০টি নকশার মধ্যেস্থপতি দম্পতি তানজিম ও ফারজানার স্থাপত্যকর্মটি চূড়ান্ত হয়। ২০১১ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১২ সালে জাদুঘরের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নিচে তিনটি বেজমেন্ট সহ নয় তলা বিল্ডিং এর মোট জায়গা প্রায় ২লক্ষ বর্গফুট। ছয়টি গ্যালারী নিয়ে কার্যালয়, পাঠাগার, আর্কাইভ, স্টোর, অডিটোরিয়াম, উন্মুক্তমঞ্চ, ক্যান্টিন, গিফট শপ রয়েছে নতুন ভবনে। সম্পূর্ণ অনুদানে নির্মিত হয়েছে নতুন ভবন।
সেগুনবাগিচার দিনগুলো
দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এর মাঝে ঘটে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের অজানা অধ্যায়গুলো সংরক্ষণের জন্য জনগণের উদ্যোগে ১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ‘আনন্দভবন’ নামে পরিচিত একটি দোতলা ভবনে প্রতিষ্ঠা করা হয় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
আটজন ট্রাস্টির উদ্যোগে চালু হয়েছিলো সেই জাদুঘর। প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টিদের একজন আক্কু চৌধুরী। তিনি বিবিসিকে শুরু কথা জানাতে গিয়ে বলেন , "একাত্তরে এত শহীদ হলো, এত রক্ত দিলাম আমরা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকে সঠিকভাবে অনেকেই জানেনা। তখন মনের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করেছিলো। তারপর শহীদ জননী জাহানারা ইমাম আমাদেরকে একটু ঝাঁকি দিলেন গন আদালতের মাধ্যমে। আমরাও আবার জেগে উঠলাম। এরপর আমরা এই জাদুঘরের স্বপ্ন দেখলাম। এরপর গ্রামে-গঞ্জে গেলাম, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বললাম। বন্ধুদের মধ্যে যাদের একটু টাকা পয়সা ছিলো তাদের সাহায্য চাইলাম। তারা সবাই অনেক উৎসাহ দিয়েছিলো"।
আরেক ট্রাস্টি সারওয়ার আলী একটি লেখায় এভাবে চিত্রিত হয়েছে
‘যাত্রা শুরুর বিকেলটি। ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন প্রায় হরতালে পরিণত হয়েছিল। তার মধ্যেই কয়েক শ বিশিষ্টজন রিকশাযোগে উপস্থিত। এমন সময় ঝড় এল খ্যাপা বুনো, সঙ্গে প্রবল বর্ষণ। আমাদের অবাক করে কেউ অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেননি। শহীদ রাশীদুল হাসানের শিশু দৌহিত্র অর্চি শিখা চিরন্তন প্রজ্বালন করে জাদুঘরের উদ্বোধন করে। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। দোতলার বারান্দা থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও সহশিল্পীরা গান গেয়েছেন ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান’। পরের দিন সংবাদটির শিরোনাম ছিল ‘শহীদ পরিবারের অশ্রুস্নাত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর উদ্বোধন’। ( সূত্র, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ২৫)
ভয়েস অব আমেরিকায় মফিদুল হকের স্মৃতিচারণ
মফিদুল হক: আমরা আটজন ট্রাস্টি ছিলাম। আমাদের দুইজন ট্রাস্টি এরইমধ্যে মারা গেছেন। শুরু দিকে আমাদের মনে হলো, এই আটজন মিলে জাদুঘর করতে পারব না যদি দেশের মানুষের, সমাজের একটা বড় রকম সহায়তা না পাই। আমাদের একটা চিন্তা ছিল জাদুঘরে যা থাকবে তা দৃশ্যমান করে সাধারণ মানুষের কাছে উপস্থাপন করা হবে। আমরা চেয়েছিলাম, যে যেভাবে পারবেন স্মারক দান করবেন, আমরা সংগ্রহ করব। পরে জাদুঘরে সেটা দেখানো হবে। প্রথমে দৃশ্যমান করার জন্য আমরা বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলাম সেগুনবাগিচায়। প্রাথমিকভাবে সেখানেই কাজ শুরু হল। আমাদের দেশে তখন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক বিকৃতি ও বিভ্রান্তি হচ্ছিল। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতো করে প্রচার করতো। আমরা ঠিক করলাম তথ্যমূলকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস উপস্থাপন করা হবে। সেই লক্ষেই আমরা কাজ করা শুরু করেছিলাম।
প্রথমদিকে আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে সংবাদমাধ্যম। দেশে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হচ্ছে এই কথা নানাভাবে উঠে আসে। আমরা জাদুঘরের জন্য স্মারকের আবেদন জানিয়ে দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গেলাম। সেখানেও একটা সাড়া পাওয়া গেল। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হবে- এমন কথা জানাজানি হল। যখন কেউ স্মারকগুলো নিয়ে এলেন, তখন সুফিয়া কামাল, শহীদজায়া ও সেক্টর কমান্ডারগণ সেসব গ্রহণ করলেন। সাধারণ লোকজন এটাকে গ্রহণ করলেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সবাই যেন মালিকানা অনুভব করে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করলাম। তহবিল পাওয়া গেল সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করা হলো। শুরুতে এটা ব্যক্তিগত উদ্যোগ হলেও তা যেন সামাজিক উদ্যোগে পরিণত হয়, সে চেষ্টাই ছিল আমাদের। এখন প্রতিষ্ঠার এতোদিন পরে আমাদের মনে হচ্ছে আমরা তা অনেকটাই করতে পেরেছি।
জাদুঘর ছাড়াও আরও যতো উদ্যোগ
স্কুল,কলেজে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানো
২০০১ সাল থেকে দু’টি ভ্রাম্যমান বাসে করে দেশের বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজে প্রদর্শনী করা হত। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং প্রায় ১৯ লাখের উপর শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। বাসের স্বল্পতা ও জনবলের অভাবে এতোদিন এ কাজটি ভালোভাবে না হলেও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার পর এ কাজ এখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকার ও তথ্যাদি সংগ্রহ
মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত ব্যাক্তি কিংবা পরিবারের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে যুদ্ধের ঘটনাবলি। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন দলিল, ঘটনা, ব্যবহৃত দ্রব্য ও অস্ত্রসামগ্রী, অত্যাচারের নিদর্শন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অমানবিক হত্যার নিদর্শনসহ মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্মৃতিসংরক্ষিত রয়েছে জাদুঘরে।
আউটরিচ কর্মসূচি
এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ঢাকা নগরীর শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিবছর বিশালভাবে ‘মুক্তির উৎসব’ আয়োজন করা হয়। এতে বিশিষ্টজনেরা যোগ দেন এবং নিবেদিত হয় চিত্তাকর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। র্যা ফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে দিনভর অনুষ্ঠান শেষ হয়। মুক্তির উৎসব শুরু হয় ২০০১ সালে, প্রতিবছর এতে অংশ নেয় প্রায় ১৫ হাজার কিশোর- কিশোরী ও তরুণ ছেলেমেয়েরা। গত বছর ছিল তাদের ২১তম আয়োজন। এবার হতে যাচ্ছে ২২তম আসর।
সপ্তাহব্যাপী প্রামাণ্যচিত্রের উৎসব
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর সপ্তাহব্যাপী আন্তর্জাতিক প্রামাণ্যচিত্র উৎসব আয়োজন করে আসছে। যুদ্ধ, গণহত্যা, মানবাধিকার, শান্তি ও সম্প্রীতি বিষয়ক তথ্যচিত্র এতে প্রদর্শিত হয়। এছাড়া প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
স্বেচ্ছাকর্মী দল গঠন ও নানামুখী আয়োজন
জাদুঘরের নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘স্বেচ্ছাকর্মী দল’ গঠন করেছে। স্বতঃর্স্ফূত আন্তরিক ও দক্ষ স্বেচ্ছাকর্মীর দল বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনায় সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখছে।
স্বাধীনতা উৎসব, বিজয় উৎসব, বইমেলা, চিত্র প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু দিবস, তাজউদ্দীন আহমদের জন্ম দিবস, মিরপুর মুক্ত দিবস, মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি স্মৃতিপীঠ প্রতিষ্ঠা দিবস, শিক্ষক সম্মেলন, গণঅভ্যুত্থান দিবস, সার্জেন্ট জহুরুল হক দিবস, বিশ্ব মানবাধিকার দিবস, বিশ্ব জাদুঘর দিবস, বিশ্ব শরণার্থী দিবস, হিরোশিমা দিবস, বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদান ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনলাইনে জাদুঘর
ইন্টারেনেটে ভার্চ্যুয়াল পরিদর্শনের ব্যবস্থা রেখেছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। www.liberationwarmuseumbd.org ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে ভার্চ্যুয়াল ট্যুর করে পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখে আসতে পারবেন যে কেউ। এ ছাড়া মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের মাইজিপি অ্যাপেও এই সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কিউরেটর আমেনা খাতুন বলেন, ‘ভার্চ্যুয়াল জাদুঘরের মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই জাদুঘর ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন সবাই। শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে জাদুঘর দেখা যাবে। ’
অনলাইনেও জাদুঘর দেখার সুযোগ রয়েছে। ওয়েবসাইটে তুলে ধরা হয়েছে মুক্তিবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়া সেক্টর কমান্ডারদের নাম ও যুদ্ধের ময়দানে তাঁদের সাফল্যের ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সবচেয়ে সমৃদ্ধ অপশন হলো আর্কাইভ। আর্কাইভে সবার ওপরে রয়েছে ‘টুডে ৭১’। এখানে ১৯৭১ সালের দিনভিত্তিক উল্লেখযোগ্য ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। ফলে আপনি চাইলেই মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন দিনে ঘটে যাওয়া খুঁটিনাটি তথ্য জানতে পারবেন। রয়েছে ডকুমেন্টস বিভাগ। এখানে মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রকাশিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। দেশের বিভিন্ন জেলার যুদ্ধের ইতিহাসের পাশাপাশি গণহত্যা ও নৃশংসতার তথ্যও জানার সুযোগ মিলবে। ‘ফটো আর্কাইভ’ অপশনে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ ছবি।
গ্যালারিভিত্তিক যা রয়েছে
প্রথম গ্যালারিতে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত কালপর্বে এই জনপদের প্রতিনিধিত্বমূলক প্রত্ননিদর্শন রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্যালারিতে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের ঘটনা থেকে ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় প্রবাসী সরকার গঠন পর্ব পর্যন্ত রয়েছে। এই গ্যালারিতে শব্দ ও আলোর প্রক্ষেপণের একটি বিশেষ প্রদর্শনী আছে। এতে ২৫ মার্চ বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার বর্বরতা তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতার ঘোষণা, ৪ এপ্রিল কুষ্টিয়ার যুদ্ধ এবং সারা দেশের গণহত্যার নিদর্শন রয়েছে এই গ্যালারিতে। আরো রয়েছে উদ্বাস্তু হয়ে পড়া বাঙালিদের শরণার্থী হিসেবে ভারতে যাত্রা, সেখানে আশ্রয়, জীবনযাপনের ঘটনাবলি।
চতুর্থ গ্যালারিতে বিভিন্ন পর্যায়ে বাঙালির প্রতিরোধ গড়ে তোলার নিদর্শন রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ, গণমানুষের দুরবস্থা, যৌথ বাহিনীর অভিযান, বিভিন্ন অঞ্চলে বিজয়, বুদ্ধিজীবী হত্যা, ঢাকায় পাকিস্তানি দখলদারদের আত্মসমর্পণ—এই ক্রমানুসারে সাজানো হয় শেষ গ্যালারিটি।
news24bd.tv/আইএএম