নরসিংদী মনোহরদীর শুকুন্দি ইউনিয়নের দীঘাকান্দি গ্রামে তিনটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে। ওই সময় ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চারজন আহত হয়েছে।
সোমবার ভোরে উপজেলার মনোহরদীর শুকুন্দি ইউনিয়নের দীঘাকান্দি ও দশদোনা গ্রামে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ৮ থেকে ১০ জনের একদল স্বশস্ত্র ডাকাত মহসিন বকুলের বাড়িতে হানা দেয়। ডকাতরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে নগদ ১০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতরা লুট করে নেয়। পাশের ঘরে থাকা মহসিন বকুলের ভাতিজা ধ্রুব টের পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাকার লোকজনকে খবর দেওয়ার চেষ্টা করলে এসময় দরজার পাশে দুই ডাকাত তাকে ঘিরে ফেলে।
অপর দিকে একই রাতে শুকুন্দি ইউনিয়নের প্রাক্তন মেম্বার মোহাম্মদ আলী ও দশদোনা গ্রামের নিজাম উদ্দিন মিস্ত্রির বাড়িতে হানা দেয় ডাকাতরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নেয়। মোহাম্মদ আলী এক ডাকাতকে ধরে রাখতে চাইলে তাদের সঙ্গে থাকা অন্য ডাকাতরা তাকে এলাপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে তার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে ডাকাতরা তার স্ত্রীকেও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকার লোকজন মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রীকে মনোহরদী স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
বর্তমানে তারা দুজনই চিকিৎসাধীন রয়েছে। ওই সময় আশপাশের লোকজন ডাকাতদের প্রতিরোধে বেরিয়ে পড়লে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
আহত মহসিন বকুল বলেন, ডাকাতদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। কিছুদিন আগেও মনোহরদীর কয়েকটি গ্রামে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ এখনোও কিছু করতে পারেনি। আমরা চাই পুলিশ যেন আমাদের যান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মরিরুজ্জামান বলেন, ডাকাতির বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/সুমন/তৌহিদ)