হুইলচেয়ারে বসে চলাফেরা করছে কচ্ছপ! কী, বিশ্বাস হচ্ছে না? অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্যি। সম্প্রতি জঙ্গল থেকে ইস্টার্ন বক্স প্রজাতির এক পুরুষ কচ্ছপকে আহত অবস্থায় আবিষ্কার করে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বাল্টিমোর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তারা কচ্ছপটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসে।
চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখা যায়, কচ্ছপটির অনেকগুলো খোলে চিড় ধরেছে, যার ফলে চলতে পারছে না সে।
মেরিল্যান্ড চিড়িয়াখানার পশু চিকিৎসক গারেট ফ্রায়েস বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে, তার পেছনের খোল যেন কিছুতেই মাটি স্পর্শ না করে। এমনটা হলে সে সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভ করতে পারতো না। সে জন্য হুইলচেয়ারের কোনো বিকল্প ছিল না। ’
ফ্রায়েস আরও বলেন, ‘বাজারে তো আর কচ্ছপদের হুইলচেয়ার পাওয়া যায় না।
‘আমার আঁকা নকশাগুলো দিয়েই কচ্ছপটির জন্য হুইলচেয়ার বানিয়ে আনা হয়। সার্জারির দুই সপ্তাহ পর থেকে কচ্ছপটি সেই হুইলচেয়ার ব্যবহার করছে। ’
কচ্ছপটির শারীরিক উন্নতি সম্পর্কে ফ্রায়েসের ভাষ্য, ‘আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না, সে কত দ্রুত হুইলচেয়ারের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। এটাতে করে চলাফেরা করতে এক মুহূর্তের জন্যও সে ইতস্তত বোধ করেনি। তার খোলটি স্থিতিশীল থাকলে দ্রুতই সেরে উঠবে সে। ’
এদিকে, মেরিল্যান্ড চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ টুইটারে কচ্ছপটির ছবি শেয়ারের সাথে সাথেই তা ভাইরাল হয়ে গেছে। নেটিজেনরা টুইট করে কচ্ছপটির প্রতি তাদের ভালোবাসা জানাচ্ছেন ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কচ্ছপটিকে পুরো শীত ও বসন্ত মৌসুম এই হুইলচেয়ারের ওপরেই কাটিয়ে দিতে হবে।
‘কচ্ছপদের নিরাময় প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে হয়। স্তন্যপায়ী কিংবা পক্ষীকূলের মতো এরা দ্রুত সেরে ওঠে না। কারণ, এদের বিপাক প্রক্রিয়া (নতুন কোষ ও রাসায়নিক পদার্থ তৈরি এবং শক্তি উৎপাদন প্রক্রিয়া) ধীরগতিতে হয়। তবে আমরা খুব খুশি যে, কচ্ছপটি এখন ভালো আছে ও সেরে উঠছে’- বলেন চিড়িয়াখানার মুখপাত্র ড. এলেন ব্রনসন।
পুরোপুরি সেরে ওঠা মাত্রই কচ্ছপটিকে ফের তার আবাসস্থলে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
সূত্র: এনডি টিভি, ইকো ওয়াচ
অরিন▐ NEWS24