আজ ২২শে শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম প্রয়াণ দিবস। ১৯৪১ সালের ৬ আগস্ট বাঙালির জীবনে নেমে আসে এই মহাশূন্যের দিন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কাজের মাধ্যমে বাঙালী ও বাংলাকে স্বীয় পরিচয়ে তুলে ধরেন বিশ্ব দরবারে। বাংলা সাহিত্যের সব শাখাতেই বিচরণ করেছেন তিনি।
১৮৮৯ সালে জমিদারি পরিচালনার ভার নিয়ে কুষ্টিয়ার শিয়ালদহে আসেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখানে এসেই সমাজ সংস্কারে হাত দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই মহামানব শুরু থেকেই এ বাংলায় অসাম্প্রদায়িক চেতনার বীজ বপণ করেন।
জমিদার রবীন্দ্রনাথ বা কবি রবীন্দ্রনাথ এর বাইরে এসে তিনি মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেন। শুরু থেকেই তিনি প্রজাদের কাছে টেনে নেন। গ্রাম বাংলার প্রকৃতি, শিলাইদহের ছায়াশীতল পরিবেশ এবং পাশের পদ্মা নদী দেখে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে এসবেই নিমগ্ন থাকতেন। আর এসবই ঘুরে ফিরে এসেছে তার রচনায়। অনগ্রসর মানুষের মনন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় ভালবাসার জায়গায় স্থান পান রবীন্দ্রনাথ। এর রেশ এখনও আছে শিলাইদহ কুঠিবাড়ি জুড়ে।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্ব দরবারে উঁচু করে তুলে ধরার পাশাপাশি সমাজ সংস্কারক হিসেবেও রবীন্দ্রনাথের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে বাঙালি জাতি।
news24bd.tv/আজিজ