অক্টোবর বা নভেম্বরে যদি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলে, তাহলে মূল্যায়নের জন্য দুই ধরনের চিন্তা আছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এছাড়াও যদি স্কুল খোলা না হয় তাহলে এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না বলেও আভাস দেওয়া হয়।
আজ রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন এমন আভাস দেন।
স্কুল খুলতে কী সাবধানতার কথা আছে গাইডলাইনে?
সংবাদ সম্মেলনে ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালনের তথ্য ও কর্মসূচি জানানো হয়।
সাক্ষরতা দিবসের তথ্য তুলে ধরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, বর্তমানে দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ। যা ২০০৫ সালে ছিল ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এক দিন অর্ধেক শিক্ষার্থী স্কুলে যাবে, বাকি অর্ধেক অন্য দিন
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিশুদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেটা দেখে তাঁরা এগোচ্ছেন। অক্টোবর ও নভেম্বর মাথায় নিয়ে দুটি পরিকল্পনা আছে।
সচিব বলেন, এখন যেহেতু বিদ্যালয় বন্ধ, তাই শিশুদের বাড়িতে মিড ডে মিলের বিস্কুট পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যালয় খোলার আগে প্রতিটি বিদ্যালয় পরিকল্পনা করবে।
কানাডায় স্কুল খোলা নিয়ে নানা মত
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ জন্য শিশুরা যাতে ঝরে না পড়ে, সে জন্য ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই সব এলাকার (ক্যাচমেন্ট এরিয়া) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেন তাদের ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ১৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে
করোনার কারণে ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। এ কারণে এ বছরের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)
