দরকার পড়লে ত্রিপুরা-সিকিমে ত্রাণ পাঠানো হবে: উপদেষ্টা নাহিদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

দরকার পড়লে ত্রিপুরা-সিকিমে ত্রাণ পাঠানো হবে: উপদেষ্টা নাহিদ

অনলাইন ডেস্ক

চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে নাকাল বাংলাদেশ এবং ভারত। স্মরণকালের ভয়াবহ এ বন্যায় প্রয়োজনে বাংলাদেশ থেকে ভারতের সিকিম-ত্রিপুরায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এই কথা বলেন তিনি।

পোস্টটিতে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট ও দেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ এবং যে কোনো সংকট মোকাবিলায় প্রস্তুত।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সংগ্রামী ছাত্র-জনতা এবং সশস্ত্র বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরলসভাবে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম করে যাচ্ছে বন্যাকবলিত এলাকায়। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, প্রবাসী বাংলাদেশি ও দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ীরাও সহযোগিতা করছে। ইনশাআল্লাহ আমরা দ্রুত দুর্যোগকাল কাটিয়ে উঠতে পারব। প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ থেকে সিকিম-ত্রিপুরায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হবে।

অবশ্য এর আগে নাহিদ ইসলাম বলেছিলেন, আগাম সতর্কতা ছাড়া বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছে।

নাহিদের সেই বিবৃতির জবাবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আমরা ডম্বুরের গেট খুলে দিয়েছি, সেটা যে সঠিক তথ্য নয়, তা দেখার জন্য তারা যদি সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় আসেন, আমি নিজে গাড়ি করে তাদের নিয়ে যাব ডম্বুর দেখাতে।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারা নিজেরা দেখতে পারেন যে, আমরা নিজের থেকে গেট খুলে দিতে পারি কি না! সেটা সম্ভব কি না! যে প্রচারটা করা হচ্ছে ডম্বুর গেট খুলে দেওয়া নিয়ে, সেটা অপপ্রচার ছাড়া কিছু না। গোমতী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো গেট খুলে দেওয়া হয়নি। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জলাধারটির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ মিটার। জলস্তর এর বেশি উঠলেই একা একাই জল গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবে। জলস্তর আবার নিচে নেমে গেলে নিজের থেকেই গেট বন্ধ হয়ে যাবেও উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: বন্যার্তদের উদ্দেশে প্রথম বেতন জমার সিদ্ধান্ত যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ১৯৯৩ সালের ২১ আগস্ট ত্রিপুরার সাব্রুমে একদিনে ২৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড ছিলো। আর এ বছর ২০ আগস্ট একদিনে বৃষ্টি হয়েছে ৩৭৫.৮ মিলিমিটার। ঠিক ৩১ বছর পরে একদিনে এত বেশি বৃষ্টি হয়েছে। পুরো মাসের হিসাব যদি দেখি, আগস্ট মাসের ২১ দিনে স্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল ২১৪ মিলিমিটার। সেখানে বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৩৮.৭ মিলিমিটার। অর্থাৎ ১৫১ শতাংশের বেশি। এত বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই এত বড় বন্যা দেখা গেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ উপদেষ্টা হিসেবে নিজের প্রথম মাসের পুরো বেতন ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

news24bd.tv/SC