বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক চায় যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা

বাংলাদেশ-ভারত সুসম্পর্ক চায় যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আসছে। প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ব্যুরোর সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, যিনি এখন নয়াদিল্লি সফরে আছেন।  
 
বাংলাদেশে ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে এক ধরনের অস্বস্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক। বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তারা বলছে, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারত যেভাবে দেখছে, একইভাবে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। তাই বাংলাদেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার সামগ্রিক স্থিতিশীলতার স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দিতে চায়। ওয়াশিংটনের প্রত্যাশা, ঢাকার সঙ্গে সহযোগিতার পথেই হাঁটবে দিল্লি। বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের বার্তা ভারতকে দিয়েছে।
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সুসম্পর্কের স্বার্থে বাংলাদেশ ও ভারতের রাজনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ ও কথাবার্তা নিয়মিতভাবে চালু থাকাটা জরুরি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ হোক।

ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াশিংটনের প্রতিনিধিদলের এবারের বাংলাদেশ সফরে অর্থনীতিতে অগ্রাধিকার থাকলেও শেষ পর্যন্ত রাজনীতি দুই দেশের সম্পর্কে বড় নিয়ামক হয়ে থাকবে।  

শুক্রবার দিল্লিতে দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বৈঠকে যোগ দেন ডোনাল্ড লু। ফলে ঢাকায় আসার আগে তাঁর দিল্লি সফর নিয়ে বাংলাদেশে কৌতূহল রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে একধরনের অস্বস্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক।  

এদিকে বাংলাদেশ সফর নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলের প্রধান ব্রেন্ট নেইম্যান সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা দূর করতে সক্ষম হবে। নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বাংলাদেশ। তিনি জানান, আইএমএফ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সম্পৃক্ততা, যুক্তরাষ্ট্র তাতে সমর্থন দেবে। আর্থিক খাতের গভীর সংস্কার, দুর্নীতি হ্রাস ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে চায়, তাতেও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে।
news24bd.tv/আইএএম