বিশ্বব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা

সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক ও তাঁর চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বিশ্বব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কেনাকাটা এখন থেকে সরকারের বিদ্যমান পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন অনুযায়ী হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনটি স্থগিত করা হয়েছে। বাজেট রিপোর্টের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক ও তাঁর চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, বর্তমান সরকার একটি দৃঢ় ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সম্পর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের অধীনে চলমান কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।  

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন পরিবর্তন করে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির আইনও স্থগিত করা হয়েছে।

এখন হতে সকল ধরনের ক্রয় প্রক্রিয়া পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা অনুযায়ী হবে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আমদানি বাবদ বর্তমান বৈদেশিক মূল্য পরিশোধের দায় প্রায় ২ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সাপোর্টের জন্য তিনি বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক নতুন দায়িত্বের জন্য উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আন্তরিক। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট সহায়তার ব্যাপারে প্রস্তাব পেলে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনা করবেন।

মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/তৌহিদ