ভারতের মৌমিতা ইস্যুতে ঢাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

সংগৃহীত ছবি

ভারতের মৌমিতা ইস্যুতে ঢাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসক মৌমিতাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় কলকাতায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সমাবেশ করেছেন ছাত্রীরা।  

শুক্রবার (১৬ই আগস্ট) বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘আওয়াজ তোলো নারী’ ব্যানারে সমাবেশ করেন একদল ছাত্রী।  

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা "তনু থেকে মৌমিতা, কুমিল্লা থেকে কলকাতা", "ধর্ষকের সাজা একটাই, মৃত্যু ছাড়া কথা নাই", "জাস্টিস ফর মৌমিতা", স্টপ রেপ", "এই অসুরদের জন্য মানবিকতা নয়, আমার মানবিকতা মৌমিতা-তনুদের সাথেই মরে গেছে", "আওয়াজ তোলো নারী’ ইত্যাদি ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনিয়া ফাহমি বলেন, আমাদের দেশের আইন ফোর্সের স্বাধীনভাবে বিচার করার মতো স্বাধীনতা নেই।

ধর্ষণের ঘটনা, ভিডিও এগুলো ফেসবুকে প্রচার হয় ঠিকই, কিন্তু ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে দেওয়া হয় না। আমাদেরকে ধর্ষকদের ব্যাপারে কিছুই জানানো হয় না। বরং গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাসীনরা ধর্ষকদের আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

তিনি বলেন, টাঙ্গাইলে গোলাম কিবরিয়া নামে একজনকে দল থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে কেবল।

এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। ৯ জনই ছাত্রলীগ কর্মী। তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে হেনস্তা করা হচ্ছে আমরা ফেসবুকে দেখলাম। ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার আগে পুলিশ মামলাই নেয়নি।

‘ধর্ষণের আজকের যে বয়ান তা পুরুষ বনাম নারী না। বরং রাষ্ট্র বনাম নারী বয়ান। নারীর নিরাপত্তাকে তারা কখনো অগ্রাধিকার দেয়নি। দিলে যেকোনো ধর্ষণ মামলার দায়েরের পর তাদের তৎপরতা দেখা যেত। ’

বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, যে মেয়েরা এত বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে স্বৈরাচার উৎখাত করেছে, তারা কী সামান্য নিরাপত্তা পেতে পারে না। আমরা এ সরকারের কাছে সে নিরাপত্তা চাই। আইন নিয়ম-নীতি আগেও শক্ত ছিল। তবে এর ফাঁকফোকর দিয়ে অনেকেই বেরিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আইনের যথাযথ প্রয়োগ চাই।

news24bd.tv/DHL